রাজন্যা দাশ, কলকাতা : মমতার মন্তবের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন দিল্লির এক আইনজীবী। দিল্লির পুলিস কমিশনারের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিনীত জিন্দাল নামে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী। মমতার বিরুদ্ধে ১৫২, ১৯২, ১৯৬, ৩৫৩ ধারায় অভিযোগ এনেছেন বিনীত।
বিনীত জিন্দাল বলেন, টিএমসির ছাত্র সংগঠনের সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বহু উস্কানিমূলক কথা বলেছেন। মমতার ওই বক্তব্য দেশের অখণ্ডতা ও সম্প্রতির বিরোধী। এই মর্মে দিল্লির পুলিস কমিশনারের কাছে একটি চিঠি লিখেছি। ওই চিঠিতে আমি দাবি করেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ, লোককে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হোক। পাশাপাশি এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মমতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রীও। সর্বভারতীয় বিজেপি বিরোধী রাজনীতির ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে। বাংলায় আরজি করে ঘটনার পর সিবিআই তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে আলোচনা হচ্ছে গোটা দেশে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে।
বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আরজি করের ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে তিনি বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনার কথা টেনে আনেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'কেউ কেউ মনে করছে এটা বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংস্কৃতি, আমাদের সংস্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র, ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। মোদীবাবু, আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন। মনে রাখবেন বাংলায় যদি আগুন লাগান, অসমও থেমে থাকবে না। উত্তর-পূর্ব-ও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না, বিহারও থেমে থাকবে না, ঝাড়খণ্ড-ও থেমে থাকবে না। ওড়িশাও থেমে থাকবে না। আর দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেব'।
মমতার ওই বক্তব্যের পর তাঁকে নিশানা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। 'কোন সাহসে অসমকে হুমকি দিচ্ছেন'? মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কড়া ভাষায় এভাবেই নিশানা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বলেন, 'আমাদের রক্ষচক্ষু দেখাবেন না। আপনার ব্যর্থতার রাজনীতি দিয়ে ভারতে আগুন লাগানো চেষ্টা করবেন না'। চুপ করে থাকলেন না মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-ও।
আপনার মতামত লিখুন :