সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার আকস্মিকভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটল। এ ঘটনা গাজার মানুষের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। হানিয়া কেবল হামাস প্রধানই ছিলেন না তিনি ছিলেন যুদ্ধবিরতি আলোচক দলের প্রধান। তারা আশা করেছিলেন এ আলোচনার মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জিত ও ইসরায়েলের অবিরাম হামলার অবসান ঘটবে। সূত্র : আল-জাজিরা
[৩] গাজা ও পশ্চিমতীর সহ পুরো ফিলিস্তিনি ভুখন্ডের মানুষেরা হানিয়াকে অন্যান্য ফিলিস্তিনি নেতাদের তুলনায় হানিয়াকে মধ্যপন্থী ও বাস্তববাদী নেতা হিসেবে মনে করেন। তিনি হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান ছিলেন।
[৪] গাজায় হানিয়া অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৪৮ সালে বর্তমান ইসরায়েল থেকে উচ্ছেদ করা ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলোর বংশধরদের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। এসব উদ্বাস্তুরা শরণার্থী শিবিরগুলোতেই বড় হয়েছেন।
[৫] হানিয়ার মৃত্যুর খবর গাজার বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত শোকাবহ ও বেদনায়ক। গাজার ফিলিস্তিনিরা বলছেন, যুদ্ধ এখন অন্য দিকে মোড় নিবে যা বর্তমানের চেয়েও খারাপ হবে।
[৬] গাজাবাসী মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আর দেখা যাচ্ছে না। আমাদের সামনের দিনগুলো আরও কঠিন হবে। বিশেষকরে যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে আলোচনা আরও দুরূহ হয়ে উঠতে পারে। হামাস প্রধান হানিয়া বলেছিলেন, আমার পরিবারের ওপর হামলা যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না। সম্পাদনা: রাশিদ
আর/আইএফ