সাজ্জাদুল ইসলাম : [২] ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রায় দশ মাস ধরে চলা গণহত্যামূলক যুদ্ধের মধ্যে এই প্রথম তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান রোববার ইস্তাম্বুলে এক দলীয় সমাবেশে ভাষণদানের সময় এই হুমকি দিয়েছেন। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট
[৩] আন্তর্জাতিক মঞ্চে গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের সবচেয়ে কঠোর সমালোচকদের অন্যতম হলেন এরদোগান। তিনি বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে হত্যাকান্ড আর চালিয়ে যেতে না পারে।
[৪] এরদোগান আরও বলেন, আমরা যেভাবে কারাবাখে ও লিবিয়ায় প্রবেশ করেছি; আমরা সেখানেও (ইসরায়েল) অবশ্যই এমনটি করবো। তবে এরদোগান ইসরায়েলে কি ধরণের সামরিক হস্তক্ষেপ করতে চান তার বিস্তারিত জানাননি। এ সময় তিনি তার দেশের সামরিক শিল্পের প্রশংসা করেন।
[৫] এখানে তিনি আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। সম্প্রতি সংঘটিত এ যুদ্ধের মাধ্যমেই বিচ্ছিন্ন অঞ্চল কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ পুণরায় ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে আজারবাইজান।
[৬] হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করার মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার এ হুমকি দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েলের নেতারা এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ।
[৭] ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ এক্সয়ে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এরদোগানকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ভাগ্যবরণ করতে হবে। দখলদার মার্কিন বাহিনী গ্রেপ্তারের পর সাদ্দামকে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল।
এমটি
আপনার মতামত লিখুন :