সাজ্জাদুল ইসলাম : [২] দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলনে আসিয়ানের মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও যোগ দিয়েছেন। এই অঞ্চলে নিজেদের সম্পর্ক বাড়াতে ও গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করছেন। সূত্র : আল-জাজিরা
[৩] বৈঠকে বক্তৃতাকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অভিযোগ করেন, বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে ‘উসকানিমূলক ও বেআইনি পদক্ষেপ নিয়েছে’। তবে এই বৈঠকের পর চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ইর সঙ্গে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
[৪] এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য ওয়াশিংটন ও বেইজিং জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য তারা আসিয়ানের বৈঠকগুলোকে কাজে লাগায়। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ফিলিপাইন ছাড়া ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইয়ের সঙ্গেও চীনের বিরোধ রয়েছে।
[৫] বৈঠকে মিয়ানমার সংকট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, ‘সংঘাতের কারণে আমরা (মিয়ানমারে) অস্থিতিশীলতা, অনিরাপত্তা, মৃত্যু ও ভোগান্তি বাড়তে দেখছি।’ মিয়ানমারে ক্রমেই তীব্র হওয়া গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে দেশটির সামরিক শাসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আসিয়ান প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা মেনে চলতে মিয়ানমারের প্রতি অনুরোধ জানান পেনি ওং।
[৬] আসিয়ানের বৈঠক থেকে অবশ্য বড় ধরনের যৌথ কোনো ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ, বিভিন্ন ইস্যুতে দেশগুলোর অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন। তা ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্য কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে কোনো ঐকমত্য নেই। সম্পাদনা: শামীম
এমটি
আপনার মতামত লিখুন :