শিরোনাম
◈ সিএমএইচে চিকিৎসাধীন মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি লাইফ সাপোর্টে ◈ রাজধানীসহ সারাদেশে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে র‌্যাব ◈ কাফির বাড়ি পোড়ানোয় দুই পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার, জানা গেল তাদের পরিচয় ◈ কেম্যান আইল্যান্ডস ও পাঁচ দেশে শেখ হাসিনার সম্পদের সন্ধান মিলেছে ◈ আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়ে নিষেধাজ্ঞার মুখে ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক ◈ ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, তাই আমি তাকে বলি: আসুন, আমাদের সঙ্গে চুক্তি করুন, গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস ◈ রোজার ঈদে এবার পাওয়া যাবে না নতুন টাকা ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়েজক হয়েও পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে পাকিস্তানের প্রতিনিধি ছিলো না ◈ খেলোয়াড়দের বছরে বেতনবাবদ পিএসজির ব্যয় ৮ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা  ◈ অপরাধে জড়াচ্ছে সমন্বয়করা, ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে অপরাধ করছে অনেকে

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০৪:১৩ সকাল
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ নিয়ে আমার বক্তব্য বিকৃত করেছে বিজেপি: মমতা ব্যানার্জি

সালেহ্ বিপ্লব: [২.১] ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমার মন্তব্য বিজেপি বিকৃত করেছে। বাংলাদেশকে ভুল বোঝানো হয়েছে।

[২.২] শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। 

[৩] মমতা বলেন, জাতিসংঘের সনদ রয়েছে কেউ শরণার্থী হলে তাকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আশ্রয় দেওয়া উচিত। এটা কি ভুল বলেছি?

[৪.১] মমতা ব্যানার্জিকে এক সাংবাদিক বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে, পররাষ্ট্রনীতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। এ কথা শুনে কিছুটা রাগান্বিত হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। 

[৪.২] তিনি বলেন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো শেখাবেন না। আমি সাতবারের সংসদ সদস্য এবং পাঁচবারের মন্ত্রী ছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো কী, তা আমি জানি।

[৫] ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল গত বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে মন্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার লিখিতভাবে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে। ভারতের সংবিধানে বলা আছে, পররাষ্ট্রনীতি সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের এখতিয়ার। কেন্দ্রীয় সরকারের এ বিষয়ে কোনো প্রদেশ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

[৬.১] গত রোববার কলকাতার এক জনসভায় মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন। 

[৬.২] তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না কারণ ওটা একটা আলাদা দেশ। যা বলার ভারত সরকার বলবে। কিন্তু আমি এটুকু বলতে পারি যে, অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজায় খটখটানি করে আমরা তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেব। তার কারণ এটা ইউনাইটেড নেশনসের একটা রেজলিউশন আছে যে কেউ যদি রিফিউজি হয়ে যায় তাকে পার্শ্ববর্তী এলাকা সম্মান জানাবে। 

[৬.৩] ওই ভাষণ শুনে বিশ্লেষকদের মনে হয়েছিল যে, সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে বাংলাদেশ থেকে বহু সংখ্যক উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে চলে আসতে পারেন, এরকম একটা ইঙ্গিত মমতা ব্যানার্জী দিয়েছিলেন।

[৭] তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মমতা আরো বলেছিলেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা বা উত্তেজনায় না যাই। আমাদের সহমর্মিতা, আমাদের দুঃখ, সে যারই রক্ত ঝরুক, তাদের জন্য আছে। আমরা দুঃখী, আমরাও খবর রাখছি। ছাত্রছাত্রীদের মহান প্রাণ, তাজা প্রাণগুলো চলে যাচ্ছে।

[৮] সেদিনই (গত রোববার) বিকেলে মমতা ব্যানার্জি একটি টুইটে লিখেন, বাংলাদেশ থেকে কয়েকশো ছাত্র এবং অন্যান্যরা পশ্চিমবঙ্গ আর ভারতে ফিরে আসছেন। আমি রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে তাদের সব রকম সাহায্য সহযোগিতা করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়