সাজ্জাদুল ইসলাম: [৩] ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল, জল ও আকাশপথে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের বোমা ও গুলির আঘাতে উপত্যকাটির উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত সর্বত্রই তছনছ হয়েছে। এতে আরও বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরই মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে এসেছে হামাস। ফলে সেখানে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সূত্র : এএফপি
[৩] গাজায় ইসরায়েলি হামলার ২৮৩তম দিনে গত সোমবার উত্তরে গাজা নগরের তাল আল-হাওয়া, শেখ আজলিন, আল-সাবরা এলাকা এবং নুসেইরাত আশ্রয়শিবিরে নির্বিচার গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
[৪] মধ্য গাজার আল-মুগারাকা এলাকাও ইসরায়েলের গোলা আঘাত হেনেছে। এ অঞ্চলের আল-মাগাজি শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর তিন শিশুসহ পাঁচ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকায় সামরিক নৌযান ও হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়েছে।
[৫] ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার উপকূলীয় এলাকাগুলোয় তারা সামরিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আর রাফাহ ও মধ্য গাজায় হামলা চালিয়ে তারা ‘বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা’কে হত্যা করেছে। উপত্যকাটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী হামলা চালিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
[৬] এদিকে এক বিবৃতিতে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছে, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র ইসরায়েলের হাতে তুলে দখলদার খুনি শাসকদের জাতিগত নিধনে সমর্থন দিচ্ছে মার্কিন সরকার। ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের যে রক্ত ঝরছে, তার প্রতি অবজ্ঞা দেখাচ্ছে ওয়াশিংটন।
[৭] ইসরায়েলের এ চলমান হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৮ হাজার ৬৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৯৭ জন।
এসআই/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :