ইমরুল শাহেদ: [২] ফেডারেল সরকার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলটিকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি পিটিআই’র প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে ধারা ৬ এর অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য রেফারেন্স ফাইল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: জিওটিভি
[৩] ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লা তারার বলেছেন, ‘পিটিআই এবং পাকিস্তান একসঙ্গে থাকতে পারে না।’ ফেডারেল সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করছে।
[৪] তারার জানান, ৯ মের ঘটনায় সাবেক ক্ষমতাসীন দলটি জড়িত ছিল এবং পিটিআই-এর সাবেক বা বর্তমান নেতারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তির ক্ষেত্রে নাশকতা চালায়। তারই আলোকে সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
[৫] পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশির ৯ মে দাঙ্গা সম্পর্কিত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর এবং সেদিনের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত মামলায় ইমরান খানের গ্রেপ্তারের আলোকে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে পাকিস্তান আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফএ’র সঙ্গে পাকিস্তানের সমঝোতার একটি কথা বহুদিন ধরেই চলছিল। সেই প্রেক্ষাপটে চুক্তি নিয়ে পিটিআইয়ের নেতারা নেপথ্যে কারসাজি করছেন বলে অভিযোগ করেছে সরকার। এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
[৬] ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের উচ্চ আদালত থেকে সংরক্ষিত আসন পাওয়ার আদেশ পাওয়ার পর পিটিআই’র বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ করার এই ঘোষণা দিয়েছে সরকার। উল্লেখ করার বিষয় হলো সংরক্ষিত আসন নিয়ে আদালতের রায় পাওয়ার আগে ইমরান খান ইদ্দত মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন।
[৭] ডনের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সংরক্ষিত আসন পাওয়ার মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টে পিটিআই হয়ে উঠবে একমাত্র প্রধান বিরোধী দল। সরকার সেটা থেকে পিটিআইকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা পিটিআই-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি এবং আমরা বিশ্বাস করি যে সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ সরকারকে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার অধিকার দিয়েছে এবং এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হবে।’
আইএস/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :