সাজ্জাদুল ইসলাম : [২] নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল গত রোববার চতুর্থবারের মতো কে পি শর্মা অলিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। সোমবার (১৫ জুলাই) শপথ গ্রহণ করেছেন তিনি। সেপালের প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব কিরণ পোখরেল এ তথ্য জানিয়েছেন। সূূত্র :এএফপি
[৩] কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, নেপালের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল অলিকে শপথ পাঠ করান।
[৪] ৭২ বছর বয়সী কে পি শর্মা অলি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান। এবার তার দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) মধ্য-বাম ঘরানার নেপালি কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে জোট সরকার গঠন করেছে। অলি প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৮ সালে আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০২১ সালে অল্প সময়ের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
[৫] তিন কোটি মানুষের দেশ নেপালের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সব সময় বড় দুই প্রতিবেশী ভারত ও চীনের কড়া নজরদারিতে থাকে। হিমালয়ঘেঁষা নেপালে এই দুই দেশের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। দিল্লি ও বেইজিং নেপাল ও নেপালের রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে চায়। আগে ক্ষমতায় থাকাকালে দুই দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছিলেন অলি। উভয়ের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও নয়াদিল্লির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছিলেন তিনি।
[৬] রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সরকারের ওপর থেকে গত সপ্তাহে সমর্থন তুলে নেয় অন্যতম বৃহত্তম জোটসঙ্গী কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট)। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন কে পি শর্মা অলি। এরপর পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ৬৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সামনে দুটি বিকল্প খোলা ছিল, হয় তাকে সরকার প্রধানের পদ ছাড়তে হবে, নতুবা পার্লামেন্টে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। পুষ্প কমল দহল দ্বিতীয় বিকল্প বেছে নিয়ে ব্যর্থ হন।
[৭] গত শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল আস্থা ভোটে হেরে যান। ফলে ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ১৮ মাসের মাথায় তার সরকারের পতন হয়। এরপর শের বাহাদুর দেউবার দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন অলি। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :