সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করতে এআর-১৫ মডেলের আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ব্যবহার করেছিলেন হামলাকারী টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। এই বন্দুক যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জনপ্রিয়। এর আগেও দেশটিতে ভয়াবহ কিছু হামলায় এই বন্দুক ব্যবহার হতে দেখা গেছে। সূত্র: এএফপি
[৩] স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় এক নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তার ওপর গুলি চালানো হয়। হামলায় ট্রাম্প গুরুতর আহত না হলেও নিহত হয়েছেন সমাবেশে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি। সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীকেও হত্যা করা হয়েছে। তার পাশেই পড়ে ছিল হামলায় ব্যবহার করা একটি এআর–১৫ রাইফেল।
[৪] এআর-১৫ রাইফেল দিয়ে একটানা একাধিক গুলি ছোড়া যায়। একই ধরনের এম-১৬ রাইফেল ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় থেকে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। মার্কিন সেনাসদস্যরা পুরো স্বয়ংক্রিয় রাইফেলও ব্যবহার করেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো কিনতে পারেন না বেসামরিক লোকজন।
[৫] এআর-১৫ রাইফেলের গুলির গতিও অনেক বেশি। সাধারণ পিস্তলের গুলির চেয়ে তিন গুণ গতিতে ছুটতে পারে এই রাইফেলের গুলি। অনেক দূর থেকেও বন্দুকটি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা যায়। এর গুলিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ত্বক ও শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে মারাত্মক আঘাত পেতে পারেন।
[৬] যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় পিস্তলের গুলিতে। তবে দেশটিতে বড় কিছু বন্দুক হামলার ঘটনায় এআর-১৫ রাইফেলের ব্যবহার হয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে বন্দুকটি দিয়ে হামলা চালিয়ে ১৯ শিশু ও দুই শিক্ষককে হত্যা করেন এক তরুণ। একই অস্ত্র দিয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবরে লাস ভেগাসে হামলা চালিয়ে ৬০ জনকে হত্যা করেন এক ব্যক্তি।
[৭] যুক্তরাষ্ট্রে এআর-১৫ কেনা বেশ সহজ। অঙ্গরাজ্যভেদে কোনো নাগরিক বন্দুকের দোকানে গিয়ে বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে রাইফেল বা শটগান কিনতে পারেন। তবে এর আগে তাকে একটি যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় অস্ত্রের ক্রেতা আগে কোনো অপরাধ করেছেন কি না বা মানসিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেনাবেচার ক্ষেত্রে অনেক সময় এই যাচাই করা হয় না।
আপনার মতামত লিখুন :