ইকবাল খান: [২] শনিবার পেনসিলভেনিয়ার একটি নির্বাচনী সমাবেশে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহত হওয়ায় বিশ্ব নেতারা তীব্র ন্দিা ও সমাবেদনা প্রকাশ করেছেন।
[৩] বাসস জানায়, হামলায় ট্রাম্পের ডান কানে গুলি লাগে। এ ঘটনায় সমাবেশে অংশ নেওয়া একজন নিহত ও দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
[৪] মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন।
[৫] ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেডারেল ব্যুরে অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
[৬] রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, সমাবেশের মর্মান্তিক সেই দৃশ্য দেখে তিনি আতঙ্কিত। তিনি বলেন, 'আমাদের সমাজে কোনোভাবেই রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।'
[৭] হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় একে 'অন্ধকার সময়' উল্লেখ করে ট্রাম্পের জন্য প্রার্থনার কথা জানান।
[৮] ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, তিনি পেনসিলভানিয়া থেকে ‘আশঙ্কার সাথে’ আপডেটগুলো অনুসরণ করছেন এবং তিনি ট্রাম্পের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এই ডানপন্থী নেতা আশা প্রকাশ করেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারের পরবর্তী মাসগুলোতে সংলাপ এবং দায়িত্বশীলতা যেন ঘৃণা ও সহিংসতার উপর বিজয়ী হতে পারে।’
[৯] আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই হত্যাচেষ্টার পর এ ঘটনায় ‘আন্তর্জাতিক বামদের’ দায়ী করেছেন। প্রেসিডেন্ট বলেছেন ‘নির্বাচনে পরাজয়ের আতঙ্কে, তারা তাদের পশ্চাৎপদ এবং স্বৈরাচারী এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নেয়।’
[১০] ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হামলার ঘটনায় মর্মাহত জানিয়ে ট্রাম্পের 'দ্রুত সুস্থতা' কামনা করেছেন। এক বার্তায় তিনি বলেন, 'এ ধরনের সহিংসতার কোনো যৌক্তিকতা নেই, বিশ্বের কোথাও এর কোনো স্থান নেই।'
[১১] ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, যারা গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সংলাপের পক্ষে, তাদের অবশ্যই এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো উচিত।
[১২] কোস্টারিকার সরকার হামলার নিন্দা করেছে এবং বলেছে যে তারা ‘এই অগ্রহণযোগ্য ঘটনার’ আপডেট অনুসরণ করছে। কোস্টারিকার প্রেসিডেন্সি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও শান্তির পক্ষের নেতা হিসাবে, আমরা সব ধরনের সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করি।’
[১৩] চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'সহিংসতা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।'
[১৪] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, 'আমার বন্ধুর ওপর হামলার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রাজনীতি ও গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।'
[১৫] জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও রাজনৈতিক আক্রমণের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করে এমন যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।'
[১৬] তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে গুলিবিদ্ধদের প্রতি 'আন্তরিক সমবেদনা' জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।'
[১৭] অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেছেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় 'ভয়াবহ দৃশ্য দেখে মর্মাহত' হয়েছেন তিনি এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিরাপদে আছেন জেনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
[১৮] নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস লুক্সন বলেছেন, 'কোনো দেশের এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়।'
[১৯] বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স বলেছেন, ‘আমাদের গভীর মতাদর্শগত এবং রাজনৈতিক পার্থক্য সত্ত্বেও, সহিংসতা যেখান থেকেই আসুক না কেন, সর্বদা সকলের প্রত্যাখ্যান করা উচিত।’
আইকে/একে
আপনার মতামত লিখুন :