ইকবাল খান: [২] মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডের স্থানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন আরেক চীনপন্থী নেতা কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপালের (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট) প্রধান কেপি শর্মা ওলি।
[৩] শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি।
[৪] আনন্দবাজার জানায়, শনিবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে জোট সরকারের প্রধান হিসাবে সিপিএন (ইউএমএল) নেতা ওলির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
[৫] শুক্রবার নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে আস্থাভোট পরাজিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন মাওয়িস্ট সেন্টারের প্রধান প্রচণ্ড।
[৬] এনডিটিভি জানায়, তার আগেই অবশ্য নেপালি কংগ্রেস-সিপিএন (ইউএমএল) জোটের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষিত হয়েছিল। তবে জল্পনা ছিল প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে। নেপালি কংগ্রেসের ৮৯ জন এবং সিপিএন (ইউএমএল)-এর ৭৮ মিলিয়ে মোট ১৬৭ জন এমপির সমর্থন ওলির সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
[৭] প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরেই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড।
[৮] ২০২৩ সালের মাঝামাঝি ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাখতে সক্ষম হন একদা গেরিলা যোদ্ধা।
[৯] শুক্রবার আস্থাভোটে ২৭৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ২৫৭ জন ভোট দিয়েছিলেন। প্রচণ্ডকে সমর্থন করেছেন মাত্র ৬৩ জন! ১৯৪ জন বিরোধিতা করেছেন।
[১০] তবে আস্থা ভোটের আগে প্রচণ্ডের প্রস্তাব মেনেই চীনের সঙ্গে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এ বেইজিং-কাঠমান্ডু রেল যোগাযোগ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়টিতে ঐকমত্য হয়েছে পার্লামেন্টে। সমর্থন করেছে ওলির দল।
আপনার মতামত লিখুন :