ইমরুল শাহেদ: [২] পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার নেতৃত্বাধীন ১৩ সদস্যের বেঞ্চ শুক্রবার এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল সংরক্ষিত নারী এবং সংখ্যালঘু আসন পাওয়ার যোগ্য। সূত্র: ডন
[৩] তার একদিন আগে পেশোয়ার হাইকোর্ট ও পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন নারী ও সংখ্যালঘু বা অমুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত আসন প্রত্যাখান করে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলকে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের রায় এলো। এতে অনেকে মনে করছেন, আদালতের এ রায় পিটিআইয়ের জন্য বিশাল বিজয়।
[৪] গত ৮ ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে পিটিআই নামে যেমন নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি তেমনি পিটিআই প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়। স্বভাবতই পিটিআই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে নির্বাচিত প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল দলে যোগ দেন।
[৫] শুক্রবার পাকিস্তানের উচ্চ আদালত পেশোয়ার হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকেও পাকিস্তানের সংবিধান পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়।
[৬] উচ্চ আদালত বলেছেন, নির্বাচনী প্রতীক বাতিল করলেই একটি রাজনৈতিক দল অযোগ্য হয় না। পিটিআই ছিল এবং এটি একটি রাজনৈতিক দল। এই রায়ে আটজন বিচারপতি একমত হয়েছেন এবং তাদের হয়ে রায় পাঠ করেন বিচারপতি মনসুর আলী শাহ।
[৭] পিটিআই এই রায়ে বিজয় উৎসব পালন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার পদত্যাগ দাবি করেন। সম্পাদনা: এম খান
আইএস/আইকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :