ইমরুল শাহেদ: [২] ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬.৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রপ্তানি করেছে ইসরায়েলে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হয়ে উঠেছে ইসরায়েলের জন্য। সূত্র: আনাদলু
[৩] গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে যখন গণহত্যাকারী দেশ হিসেবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তখনো ইউরোপের দেশগুলো ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহের কাজ অব্যাহত রেখেছে। সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিউট (সিপরি) দ্বদ্ব-সংঘাত, অস্ত্রায়ন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং নিরস্ত্রকরণ নিয়ে গবেষণা চালাতে গিয়ে বলেছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স, ইতালি এবং জার্মানি মধ্যপ্রাচ্যে ৮১ শতাংশ অস্ত্র সরবরাহ বা বিক্রি করেছে।
[৪] গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক ব্যয় ২৪ শতাংশ থেকে এক লাফে ২৭.৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এটাকে বলা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক ব্যয়।
[৫] যদিও ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং স্পেন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আর ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে না।
[৬] ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিই সর্বাধিক অস্ত্র সরবরাহ করছে ইসরায়েলকে, যার পরিমাণ ৩০ শতাংশ। দেশটি ২০১৯ এবং ২০২৩ সালে সর্বাধিক অস্ত্র বিক্রি করে ইসরায়েলের কাছে। ৭ অক্টোবরের পর ২০২৩ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩২৬.৫ মিলিয়ন ইউরো। ইতালি দিয়েছে ২.১ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র। এছাড়া যুক্তরাজ্য, স্পেনও অস্ত্র বিক্রি করেছে ইসরায়েলের কাছে। এসব অস্ত্রের সাহায্যেই মানবাধিকার আইন লংঘন করছে ইসরায়েল।
[৭] মনে করা হচ্ছে এসব অস্ত্র দিয়ে গাজায় প্রায় ৩৮ হাজার বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার নারী এবং ১৫ হাজার শিশু। সম্পাদনা: এম খান
আইএস/আইকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :