রাশিদুল ইসলাম: [২] নিউইয়র্ক টাইমস হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার খবরটি প্রকাশ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতি হিসাবে ভূমিকা গ্রহণ করার পর অরবান যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন।
[৩] দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার খবর জানে বিশ্ব। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে অরবানের সাথে এর আগে দেখা করেছিলেন ট্রাম্প।
[৪] ইইউ সভাপতি হিসেবে অরবান ইতিমধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
[৫] জার্মান সাংবাদিক এবং লেখক পল রনজাইমারের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে অরবান বলেন, বাইডেনের ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হবার অত্যন্ত, খুব উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।
[৬] ইউরোপের অনেক দেশের কূটনীতিকরা মনে করেন ইইউ প্রতিষ্ঠানগুলির অরবানের ফাঁদে পড়া উচিত হয়নি এবং হাঙ্গেরিকে সভাপতির ভূমিকা গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। কারণ ইইউ আইনটি ইউনিয়ন এবং ঐক্য রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হবে, কাল্পনিক ঐক্যের কাল্পনিক ধারণা নয়।
[৭] এর আগে অরবানের রাশিয়া সফর তার অনেক সহকর্মীকে হতবাক করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে তাড়াহুড়ো করে বলেন, বিদেশী নেতাদের সাথে আলোচনায় অরবানের প্রতি ইইউ থেকে কোনও আদেশ নেই এবং তিনি ‘কোনও রূপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করছেন না’।
[৮] ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটেরি অর্পো রাশিয়ায় অরবানের সফরকে ‘বিরক্তিকর’ সংবাদ হিসাবে অভিহিত করে বলেন, এই সফর ‘ইইউ প্রেসিডেন্সির দায়িত্বের প্রতি অবজ্ঞা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে।’
[৯] লিথুয়ানিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস এক্স-এ লিখেছেন যে অরবান হয়তো ইইউ প্রেসিডেন্সির পদের অপব্যবহার করছেন, তিনি অবশ্যই যা করছেন না তা হল ন্যাটো বা ইইউর প্রতিনিধিত্ব।
[১০] ফক্সনিউজে এ প্রতিবেদনের পর প্রতিক্রিয়ায় একজন বলেন, অরবান একদিকে ইউরোপীয় কনসোর্টিয়ামের অংশ হতে চান এবং সস্তায় রুশ গ্যাসও পেতে চান।
আপনার মতামত লিখুন :