সাজ্জাদুল ইসলাম : [২] জার্মানিতে ২০২৬ সাল থেকে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাটোর তিন দিনব্যাপী ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সূত্র: বিবিসি
[৩] যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণাটি দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী, জার্মানিতে পর্যায়ক্রমে টমাহক ক্রুজ, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল বা এসএম-৬ ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে।
[৪] ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব ক্ষেপণাস্ত্র আছে সেগুলোর চেয়ে এসবের পাল্লা অনেক বেশি। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করে ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর আগে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যায়।
[৫] জার্মানিতে সর্বশেষ দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময়। এখন দেশটিতে নতুন করে আবার দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া।
[৬] রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, ‘নতুন হুমকিকে সামরিকভাবে মোকাবিলা’ করা হবে। তিনি এ পদক্ষেপকে ধারাবাহিক উসকানির একটি যোগসূত্র বলে অভিহিত করেন। ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এই রুশ মন্ত্রী।
[৭] এ ব্যাপারে জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চায় আমরাও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও সংগ্রহ করি। এই বিষয়ে উৎসাহ দিতেই যুক্তরাষ্ট্র এটি করেছে।’
[৮] পিস্টোরিয়াস পরে ফ্রান্স, ইতালি ও পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে একটি পত্রে স্বাক্ষর করেন। এতে ইউরোপে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথা বলা হয়েছে। দ্য ইউরোপিয়ান লং-রেঞ্জ স্ট্রাইক অ্যাপ্রোচ (ইলসা) এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে। সম্পাদনা: রাশিদ
আর/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :