সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রাধান্য পাচ্ছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলন। ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রিগ্যান ইনস্টিটিউটে গত মঙ্গলবার শুরু হয় সম্মেলন। এই ইনস্টিটিউটেই ১৯৪৯ সালে দ্য নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) যাত্রা শুরু করেছিল। সূত্র: বিবিসি
[৩] এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি তার বক্তৃতায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থামানো ও ইউক্রেনকে সহযোগিতার কথা বলেন।
[৪] এ সম্মেলনে ন্যাটোর নেতারা প্রতিরক্ষা, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ও পশ্চিমা বিশ্বে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগ নিয়েও আলোচনা করেন। বাইডেন বলেছেন, পুতিন ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ পরাস্ত করতে, ইউক্রেনের গণতন্ত্রকে শেষ করতে, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে এবং দেশটিকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চান।
[৫] বাইডেন বলেন, আপনারা জানেন, পুতিন কিন্তু ইউক্রেনে থামবেন না। কাজেই কোনো ভুল করা যাবে না। ইউক্রেনই পুতিনকে থামাতে পারে এবং দেশটি তা করবেই। বাইডেন পুতিনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানান।
[৬] ন্যাটোর এই সম্মেলন বাইডেনের রাজনৈতিক জীবনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত ২৭ জুন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে ভালো করতে না পারায় তিনি চাপে আছেন।
[৭] এই পরিস্থিতিতে ন্যাটোর সম্মেলনে ইউরোপীয় মিত্রদের নেতাদের সামনে নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করার দরকার ছিল বাইডেনের। তিনি তা মোটামুটি ভালোভাবেই পেরেছেন। এ দিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি থেমে যাননি, ভুলও করেননি।
[৮] বক্তৃতার একপর্যায়ে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া ও ইতালির সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও কয়েক ডজন কৌশলগত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।
[৯] ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন। এর বাইরে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নেতাদেরও তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উদীয়মান চীনকে রুখতে ন্যাটোর ভূমিকা বৃদ্ধিতে তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :