সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ফোনালাপ ও বার্তা আদান-প্রদানে আড়ি পাতার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাকে আইনি বৈধতার বিরোধিতা করেছে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল। স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় অর্ধেক সময়ই দেশটির ক্ষমতায় ছিল সামরিক বাহিনী। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
[৩] পাকিস্তানে সরকারকে ক্ষমতায় রাখা বা সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশটির সামরিক বাহিনী অতিমাত্রায় ভূমিকা রেখে আসছে। ফলে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সকে (আইএসআই) বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
[৪] রয়টার্স জানায়, আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার মঙ্গলবার পার্লামেন্টকে জানান, ৮ জুলাই এক অফিস আদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে এ আইনি পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ওপর নজরদারিতেই আইনটি সীমাবদ্ধ থাকবে। এতে জনগণের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন যাতে না হয়, সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
[৫] ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এপদক্ষেপের বিরোধিতা করছে। দলটির নেতা ওমর আইয়ুব এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাটি তাদের এ ক্ষমতা সরকারি দলের আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে।
[৬]পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের কাছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কোনো সাড়া দেয়নি। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :