সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় গত ৯ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন ও গণহত্যায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। সূত্র : আলজাজিরা
[৩] যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গবেষণা ও পিআর-রিভিউ সাময়িকী ল্যানসেট জানিয়েছে, গাজায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
[৪] সম্প্রতি ল্যানসেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদেন এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দাপ্তরিকভাবে ৩৮ হাজারের অধিক নিহতের যে সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনগুলোর ধ্বংস্তূপের নীচে চাপা পড়া এবং গাজায় গত ৯ মাসে খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতদের হিসাবে ধরা হয়নি।
[৫] প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি এদেরকে ধরে নিয়তের হিসাব করা হয়, তাহলে মোট নিহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি বা প্রায় দু’লাখে পৌঁছাবে। এতে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধ বাঁধলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাদ্য সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। ফলে যুদ্ধের সময় যারা গুলি বা গোলার আঘাতে সরাসরি নিহত হন, তাদের তুলনায় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতের সংখ্যা থাকে বেশি।
[৬] ল্যানসেট জানায়, গত ৯ মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যামূলক হামলার সময় গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে যদি যুদ্ধ বন্ধও হয় তাহলেও আরও বেশ কিছুদিন গাজায় মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকবে।
[৭] আধুনিক যুগের যুদ্ধ-সংঘাতে গুলি বা গোলার আঘাতে যত মানুষ সরাসরি নিহত হন, পরোক্ষভাবে নিহত হন তারচেয়ে তিনগুণ বা ১৫ গুণ বেশি মানুষ। একটি সাধারণ স্বীকৃত সিদ্ধান্ত হলো প্রতি একজন সরাসরি নিহতের সঙ্গে পরোক্ষ নিহতের সংখ্যা থাকে অন্তত ৪ জন।
[৮] ল্যানসেটের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর চলামন অভিযানে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা হিসেবে ধরলে বলা যায়, শতকরা হিসেবে গত ৯ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন সেখানকার মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :