ইমরুল শাহেদ: পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান সোমবার ইন্টারনেট ভোটিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসী পাকিস্তানিদের ভোটাধিকার বাতিল করে নির্বাচনী আইনে সংশোধনীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেছেন। জিওটিভি
গত ৯ জুন যৌথ পার্লামেন্ট অধিবেশনে ‘ইলেকশন্স (সংশোধনী) বিল, ২০২২’ এবং ‘ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি (সংশোধনী) বিল, ২০২২’ পাস করা হয়। তাতে বিদেশে অবস্থান করা পাকিস্তানিরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করা থেকে বঞ্চিত হবেন। ইতোমধ্যে পাকিস্তান ইবিএম ভোটিং পদ্ধতি বাতিল করেছে। এছাড়া এনএবি চেয়ারম্যান নির্বাচনের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
পিটিআই এর মধ্যেই এনএবি আইন সংশোধনকে চ্যালেঞ্জ করেছে। পিটিআই এই উচ্চাদালতকে নির্বাচন নিয়ে পরিবর্তন করা আইন অর্থাৎ সংশোধনী বিলের হস্তক্ষেপ করার আবেদন করেছে।
ইমরান খানের আইনজীবী এই মামলায় ফেডারেল সরকার, ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান (ইসিপি) এবং ন্যাশনাল ডাটাবেস ও রেজিষ্ট্রেশন অথরিটিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
পিটিআই চেয়ারম্যান সংশোধনীগুলিকে ‘অসাংবিধানিক, অতি ভয়ঙ্কর এবং অকার্যকর ঘোষণা ও বাতিল করার জন্য’ আদালতের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন।
তিনি আদালতকে ঘোষণা করতে অনুরোধ করেন, ‘ইলেকশনস (সংশোধনী) অ্যাক্ট, ২০২১-এ নির্বাচনি ২০১৭ সালের অ্যাক্টের ৯৪(১) ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেটাই হলো এখনকার চলমান আইন। ইসিপি এবং এনএডিআরএ এবং সকল প্রতিষ্ঠানকে এই চলমান আইন অনুসারেই কাজ করতে হবে।
আবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসিপি এবং সকল প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিন, যাতে বিদেশি পাকিস্তানিরা ভবিষ্যতের সব নির্বাচনে, বিশেষ করে তাদের বসবাসের দেশে থেকে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’
আপনার মতামত লিখুন :