সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ইউক্রেনের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলায় দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার ১ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়েছে। ইউক্রেনের জাতীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো জানিয়েছে, হামলার পর বিদ্যুৎ পুনরায় চালুর জন্য কাজ চলছে। সূত্র: বিবিসি
[৩] রুশ বিমান হামলার পর রাশিয়ার সীমান্তবর্তী সুমি শহর এবং ওই অঞ্চলের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া এই হামলায় কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
[৪] ইউক্রেনজুড়ে বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এসব হামলার কারণে প্রায়ই দেশটির মানুষ ব্যাপক ব্ল্যাকআউটে নিমজ্জিত হয়ে থাকেন। এর ফলে লোকেরা পানি, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ, বা জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়াই গ্রীষ্মের তীব্র পরিস্থিতি সহ্য করতে বাধ্য হন।
[৫] কেবল গত তিন মাসে রাশিয়ার হামলায় ৯ গিগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ সংস্থা ইউক্রেনারগো বলেছে, শত্রুদের এই কর্মকাণ্ডে ইউক্রেন তার সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হারিয়েছে এবং ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সমস্ত পানিবিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[৬] এদিকে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গত ৫-৬ জুলাই রাতে রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা ২৭টি শাহেদ কামিকাজে ড্রোনের মধ্যে ২৪টি ভূপাতিত করেছে।
[৭] এয়ার ফোর্স কমান্ড টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক জ্যামিং এবং অ্যান্টি-এয়ার ডিফেন্স ব্যবহার করে সুমি অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব ড্রোনগুলোকে আটকানো হয়েছিল। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :