সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার প্রধান যে শর্ত দিয়েছিল হামাস; সেটি থেকে তারা সরে এসেছে। হামাস দাবি করেছিল, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যদি ইসরায়েল তাদের জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে চায় তাহলে আগে ইসরায়েলকে যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। সূত্র: এপি
[৩] ইসরায়েল এ দাবি মানতে নারাজ। আর এ কারণে এখন হামাস তাদের প্রধান শর্তে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস ও মিসরের দুটি সূত্র। এ শর্তে ছাড় দেওয়ায় গত বছরের নভেম্বরের পর এবারই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতি যে হবেই এমন কোনো নিশ্চয়তা কোন পক্ষই দেয়নি।
[৪] হামাস মধ্যস্থতাকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটি তারা মেনে নিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি থাকবে।
[৫] এই সময়ে হামাস বেশ কয়েকজন অসুস্থ, নারী ও শিশু জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সরে যাবে এবং বাস্তুচ্যূত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবেন।
[৬] এরপর দ্বিতীয় ধাপে আরও জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এতে থাকবে ইসরায়েলি সেনারা। আর তৃতীয় ধাপে শুরু হবে গাজাকে পুনর্গঠনের কাজ।
[৭] এদিকে হামাস মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে জানিয়েছে, তাদের লিখিত নিশ্চয়তা দিতে হবে, যখন যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শুরু হবে তখন ইসরায়েলকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করবে। যতদিন পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হবে ততদিন আলোচনা চলবে এবং যুদ্ধ আর শুরু করা হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :