শিরোনাম
◈ অবৈধ টাকায় ভোগ-বিলাস এখন ফ্যাশন, এর উৎস কেউ জানতে চায় না: প্রধান বিচারপতি ◈ আগের কোটা আন্দোলনের ৩১ নেতা বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে পারেনি: ওবায়দুল কাদের  ◈ পিএসসির প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সেই আবেদ আলী ও তার ছেলেসহ গ্রেপ্তার ১৭  ◈ নরসিংদীর রেললাইনে ৫ জনের  ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার, দেখতে গিয়ে আরেকজনের মৃত্যু ◈ ‘কোটা আন্দোলন চলবে’ ঘোষণা দিয়ে সাইন্সল্যাব ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা ◈ কোটা আন্দোলনকারীদের ৬৫ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন ◈ রথযাত্রায় নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের সুস্থতা কামনা মির্জা ফখরুলের ◈ বেগম খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে: মির্জা ফখরুল ◈ কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলা ব্লকেডের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক, রেলপথ অবরোধ ◈ বেইজিং পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী, লাল গালিচা সংবর্ধনা

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৪, ০৭:২৩ বিকাল
আপডেট : ০৬ জুলাই, ২০২৪, ১২:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রিটেনে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গাজাপন্থীদের কাছে হেরেছেন লেবার প্রার্থীরাও

গাজাপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরেছে কয়েকজন লেবার নেতা 

ইকবাল খান: [২] ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি জিতলেও দলটির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বেশ কিছু এলাকায় তাদের প্রার্থীরা গাজাপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরে গেছেন, আরও অনেকে পড়েছেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। সূত্র: বিবিসি

[৩] এর মধ্যে দলটির শ্যাডো মিনিস্টার জনাথন অ্যাশওয়ার্থ লেস্টারের সাউথ আসনে হেরে গেছেন, যেখানে আগে প্রায় ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেছিলেন তিনি।

[৪] ১০ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোট আছে এমন আসনগুলোতে লেবার পার্টির ভোট কমেছে গড়ে ১১ শতাংশ।

[৫] ইলফোর্ড নর্থে শ্যাডো স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং আগে জয়লাভ করেছিলেন নয় হাজার ভোটের ব্যবধানে। এবার তার জয়ের পার্থক্য মাত্র ৫২৮ ভোট।

[৬] তবে জর্জ গ্যালাওয়ের কাছ থেকে রোচডেলের আসন পুনরুদ্ধার করেছে লেবার প্রার্থী পল ওয়াহ।

[৭] বিবিসি বলছে, লেবার পার্টি অধিক মুসলিম জনগোষ্ঠী আছে এমন পাঁচটি আসনে হেরে গেছে। এর মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র আর একটিতে কনজারভেটিভ প্রার্থী জয়ী হয়েছে।

[৮[ লেস্টার সাউথ আসনে শওকত অ্যাডাম ৯৭৯ ভোটে জয়ের পর ঘোষণা করেছেন ‘এটা গাজার জন্য’। এই আসনে ৩০ শতাংশ ভোটার মুসলিম। ১৩ বছর ধরে অ্যাশওয়ার্থ আসনটি ধরে রেখেছিলেন।

[৯] কাছেই লেস্টার ইস্ট আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কয়েক হাজার ভোট পাওয়ায় সুবিধা পেয়েছেন কনজারভেটিভ প্রার্থী। বিশেষ করে সাবেক লেবার এমপি ক্লাউডিয়া ওয়েব্বের এলাকায়।

[১০] ক্লাউডিয়া ওয়েব্বে হয়রানির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। তবে তিনি ফিলিস্তিনপন্থী হিসেবে সোচ্চার কণ্ঠ।

[১১] তার সাবেক আসনে টোরি প্রার্থী জয় পেয়েছে ৪৪২৬ ভোটে, যা ক্লাউডিয়া ওয়েব্বের প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে কম।

[১২] বার্মিংহামের পেরি বার এলাকা লেবারের খালিদ মাহমুদ ৫৭০ ভোটে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়ুব খানের কাছে।

[১৩] অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যারা গাজাকেই তাদের প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিলেন তারা ডিউজবুরি, বাটলে, ব্ল্যাকবার্ন এলাকায় জয়ী হয়েছেন, যেখানে আগে লেবার পার্টির ভালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল।

[১৪] বার্মিংহাম লেডিউডে ছায়া বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আইনজীবী আহমেদ ইয়াকুব। টিকটকে ইয়াকুবের অনুসারীর সংখ্যা অনেক।

[১৫] তবে শাবানা মাহমুদের জয়ের পার্থক্য ৩২ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৩৪২১ ভোট।

[১৬] একইভাবে জেস ফিলিপস পার্লামেন্টে গাজার যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য লেবার পার্টির সামনের সারি ছাড়তে হয়েছিল। ভোটে নির্বাচিত হলেও এবার তিনি জয়লাভ করেছেন ৬৯৩ ভোটের ব্যবধানে।

[১৭] পূর্ব লন্ডনের বেথানল গ্রিন অ্যান্ড স্টেফনি আসনে ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী আগে ৩১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাশরুরকে তিনি হারিয়েছেন ১৬৯৮ ভোটের ব্যবধানে।

[১৮] এমনকি নির্বাচনি প্রচারণার সময় লেবার নেতা স্যার কিয়ের স্টারমার নিজেও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ডের মুখোমুখি হয়েছেন এবং তার ভোটের ব্যবধান কমেছে। গাজাপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী এন্ড্রু ফেইনস্টেইন পেয়েছেন ৭৩১২ ভোট।

[১৯] ইসলিংটন নর্থ আসনে সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তিনি লেবার প্রার্থীর চেয়ে সাত হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। এন্টিসেমিটিজম বিষয়ক এক রিপোর্টে প্রতিক্রিয়ার কারণে দলে তার সদস্যপদ স্থগিত হয়েছিলো।

[২০] রোচডেইলে লেবার পার্টির পল ওয়াহর কাছে হেরেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা জর্জ গ্যালাওয়ে। কয়েক মাস আগেই এক উপনির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন।

[২১] গাজা দ্বন্দ্বের বিষয়ে অবস্থানের জন্য লেবার পার্টির ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। ইসরায়েলে গত সাতই অক্টোবরে হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

[২২] ফেব্রুয়ারিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছিল লেবার কিন্তু সমালোচকদের মতে পার্টির এই অবস্থানে পৌঁছার গতি ছিলো খুবই ধীর। নির্বাচনী ইশতেহারে লেবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। গত বছর স্যার কিয়েরের বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিলো। তিনি বলেছিলেন ইসরায়েলের গাজায় পানি ও জ্বালানী বিচ্ছিন্ন করার ‘অধিকার’ আছে।

[২৩] পরে তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন যে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন দেশটির আত্মরক্ষার অধিকার আছে।

আইকে/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়