সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] কাজাখস্তানের আস্তানায় গত বুধবার শুরু হয়েছে দুই দিনের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) আঞ্চলিক সম্মেলন। এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। সূত্র: এএফপি
[৩] ৯ সদস্যের এসসিও’র স্থায়ী সদস্যদেশগুলো হলো আয়োজক কাজাখস্তান, ভারত, চীন, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও ইরান। এ বছর এতে যুক্ত হতে পারে বেলারুশ। ২০০১ সালে ইউরেশীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংস্থা হিসেবে রাশিয়া ও চীনের উদ্যোগে এটি গঠিত হয়। এ সংস্থার অধীন দেশগুলোতে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার বসবাস।
[৪] গত বুধবার ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে এসসিও সদস্যদেশগুলোর নেতারা পরস্পরের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা আরও গভীর করার ও এসসিওর কার্যক্রম উন্নত করতে আলোচনা করবেন।
[৫] ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকে মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। এ সম্মেলনে বুধবার যোগ দেন পুতিন। এর আগে গত মঙ্গলবার এখানে এসে পৌঁছান শি।
[৬] এই দুই নেতা এসসিও সম্মেলনকে মধ্য এশিয়ায় তাদের কৌশলগত স্বার্থ বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম হিসেবে দেখছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এই শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিতে পারেন।
[৭] ক্রেমলিনের কর্মকর্তা ইউরি উশাকভ রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘এসসিওর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমরা মনে করি, এসসিও এবং ব্রিকস হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরির দুটি মূল খুঁটি।’রাশিয়া ও চীন উভয়ই বিশ্বমঞ্চে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আধিপত্যের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে।
[৮] চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং চলতি সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, বেইজিং বিশ্বাস করে, এসসিও শীর্ষ সম্মেলন সব পক্ষের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তুলতে এবং সদস্যদেশগুলোর নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে অবদান রাখতে সহায়ক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :