শিরোনাম
◈ টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে, ইউরোর সেমিতে ইংল্যান্ড ◈ সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা ◈ ‘পানি বণ্টন চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে’ ◈ রাজধানীতে সহপাঠীর হাতে কলেজ শিক্ষার্থী খুন ◈ কোটা বাতিলের দাবিতে রোববার সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ◈ সারাদেশে অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলন ◈ চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী  ◈ রাজশাহীতে ওসির ‘খাম’ আদান-প্রদানের ভিডিও ভাইরাল ◈ চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নাও: শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী 

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৪৮ সকাল
আপডেট : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ, ভরাডুবির মুখে কনজারভেটিভ পার্টি

সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতাসীন দেশটির কনজারভেটিভ পার্টি ঐতিহাসিক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। নানা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বামঘেঁষা কিয়ার স্টারমারের বিরোধী লেবার পার্টি পার্লামেন্টে সম্ভাব্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট

[৩] কনজারভেটিভ নেতা ঋষি সুনাক গত মে মাসের শেষের দিকে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তার দল কনজারভেটিভ বা টোরি দলের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বৃষ্টির মধ্যে একা দাঁড়িয়ে ভিজছিলেন তিনি। তার কিছু সমালোচক বলছিলেন, সবকিছু শেষ করার জন্য আপাতদৃষ্টিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

[৪] গত মাসে কনজারভেটিভ ঘেঁষা যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফ পত্রিকারমএক জরিপে বলা হয়, টোরি দলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। হাউস অব কমন্সে বর্তমানে যাদের ৩৬৫ আসন রয়েছে, সেখানে ক্ষমতাসীন দল হয়েও তারা এবার মাত্র ৫৩ আসন পাবে। পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে লেবার পার্টি পাবে ৫১৬ আসন। 

[৫] ঋষি সুনাক তার নিজের আসনেও হেরে যেতে পারেন। তারই মতো বর্তমান মন্ত্রিসভার দুই-তৃতীয়াংশ নেতা নিজ আসন হারাবেন। কিছু পূর্বাভাসে এ-ও বলা হয়, কনজারভেটিভ পার্টি বৃহত্তম দলের স্থানও হারাবে। মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটসরা তাদের চেয়ে বেশি আসন পাবে।

[৬] বিশ্লেষকেরা বলছেন, টোরি দলের বিলুপ্তি অকারণে ঘটছে না। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে ২০১০ সালে ক্ষমতায় আসে টোরিরা। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য পাঁচ প্রধানমন্ত্রী দেখেছে। এ ছাড়া একাধিকবার অর্থনৈতিক বিপর্যয়, মহামারি, ব্রেক্সিটের (ইউরোপ থেকে আলাদা হওয়া) পরবর্তী নানা সমস্যা ছিল।

[৭] লেবার পার্টির যাত্রাপথও মসৃণ ছিল না। স্টারমার নিজেকে জেরেমি করবিনের চেয়ে আলাদা করে তুলেছিলেন। তিনি সরাসরি তার বিরোধিতা করেন। এতে করবিন আলাদা হয়ে যান এবং স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনের আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসএর এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবার লেবার ও কনজারভেটিভ মিলে সবচেয়ে কম ভোট পাবে, যা হবে এ শতকের মধ্যে সর্বনিম্ন। 

[৮] টোরি দলের দুর্যোগের সুযোগে লেবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে। তবে নির্দিষ্ট জাতিসত্তার মধ্যেও এ দুটি দল ভোট কম পাবে। এর কারণ সুনাক ও স্টারমার উভয়ে গাজার গণহত্যার ঘটনায়র্  ইসরায়েলকে সমর্থন করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়