ইকবাল খান: [২] যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে তার দুর্বল বিতর্কের জন্য ভ্রমণ জনিত ক্লান্তিকেই দায়ী করেছেন।
[৩] বিবিসি জানায়, সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, নির্বাচনি বিতর্কের আগে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি ভ্রমণের কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন এবং এ কারণে তাকে ‘খুব বেশি স্মার্ট’ দেখা যায়নি। জো বাইডেন বলেন, ‘আমি আমার কর্মকর্তাদের শুনিনি...এবং এরপর মঞ্চেই প্রায় ঘুমিয়ে পড়ছিলাম।’
[৪] ৮১ বছর বয়স্ক জো বাইডেন তার শেষ ভ্রমণ শেষ করেছিলেন গত ১৫ জুন, যা ২৭ জুনের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে।
[৫] জো বাইডেনের মন্তব্য এমন সময় আসলো যখন তার দলের অভ্যন্তরেই নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং টেক্সাসের একজন ডেমোক্র্যাটিক দলীয় কংগ্রেসম্যান তাকে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোরও আহবান জানিয়েছেন।
[৬] মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে লয়েড ডগেট বলেছেন, ‘আমি আশাবাদী তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বেদনাদায়ক ও কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।’
[৭] প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বৃহস্পতিবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের সময় কিছু ক্ষেত্রে জবাব দিতে সংগ্রাম করতে দেখা গেছে।
[৮] মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ায় একটি ব্যক্তিগত তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা কোনো অজুহাত নয়, তবে এটি একটি ব্যাখ্যা।’
[৯] তিনি তার পারফরমেন্সের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, তার পুনরায় নির্বাচিত হবার জন্য এটি সহায়ক নয়।
[১০] জো বাইডেন গত মাসে দুই সপ্তাহে ইউরোপে দুটি আলাদা ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
[১১] ইতালি থেকে রাতভর ভ্রমণ করে ফিরে এসে ১৫ জুন তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওই দিনই তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরে আসেন।
[১২] এর আগে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বিতর্কের দিন জো বাইডেন ঠান্ডায় আক্রান্ত ছিলেন।
[১৩] তবে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নিজে তার কোনো অসুস্থতার কথা বলেননি। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেছেন বিতর্কের সময় তিনি ঠান্ডার কোনো ওষুধ সেবন করেননি।
[১৪] ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কের প্রস্তুতি নিতে বাইডেন ক্যাম্প ডেভিডেও ছয় দিন কাটিয়েছেন। এটি ওয়াশিংটন ডিসির বাইরে প্রেসিডেন্টের অবকাশ কেন্দ্র।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :