মনজুর এ আজিজ: [২.১] ভারতের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট উৎপাদনে এসেছে। সোমবার ভোর ৫টায় ইউনিটটি চালু হয়। সকাল দশটা থেকে এই ইউনিট ৫১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও ১১টা নাগাদ উৎপাদন বেড়ে বাংলাদেশে আসছে ৭০২ মেগাওয়াট।
[২.২] আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে।
[৩] সূত্র মতে, কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ২৫ জুন থেকেই দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন কমে গিয়েছিল। উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছিলেন প্রকৌশলীরা। কিন্তু গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
[৪.১] ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট করে মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ১৬০০ মেগাওয়াট। এ কেন্দ্রটি থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। যা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
[৪.২] পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২১ জুন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এর আগে গত শুক্রবার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
[৫.১] বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) জানায়, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির উৎপাদন বন্ধ করা হয়। এটি ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। কিন্তু তার আগেই প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করেছে।
[৫.২] আদানি গ্রুপের বাংলাদেশ অফিস সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রয়েছে। আরেকটি ইউনিট টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বন্ধ হয়েছিল।
[৬] পিজিসিবি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকে, সে কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বাই রোটেশনে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট সিডিউল রক্ষণাবেক্ষণে যায় ঈদের আগে। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফেরার কথা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়।
[৭] উল্লেখ্য আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :