ইকবাল খান: [২] শুক্রবার নয়াদিল্লি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ২০২৩ সালের প্রতিবেদনকে ‘গভীর পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যায়িত কওে প্রত্যাখান করেছে। দিল্লি বলছে, ভারতের সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা না থাকায় এমন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স
[৩] বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ২০২৩ সালের বিশ্বের ধর্মীয় স্বাধীনতাসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুত্ব এখনো বহু দেশ ও মানুষের কাছে স্বীকৃতি পায়নি। গুরুত্ব পায়নি। ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
[৪] ভারত সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন, দেখা যাচ্ছে ঘৃণা ভাষণ, ধর্মান্তরবিরোধী আইন, সংখ্যালঘু উপাসনালয় ও বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এ প্রবণতা উদ্বেগজনক।
[৫] শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের শুরুতে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘অতীতের মতো এ প্রতিবেদনও গভীরভাবে পক্ষপাতপূর্ণ। ভারত ও ভারতীয় সমাজ সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা না থাকাই এর কারণ। আমরা সরাসরি এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি।’
[৬] পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ প্রতিবেদন নিতান্তই একপেশে। বেছে বেছে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা তুলে পক্ষপাতদুষ্ট অনির্ভর সূত্রের ভিত্তিতে একপেশে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
[৭] বিবৃতিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, উপাসনাস্থলে হাঙ্গামা ও বর্ণবাদী আক্রমণেরও উল্লেখ করা হয়েছে। মুখপাত্র বলেন, ভারত ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত ঘৃণা অপরাধের একাধিক ঘটনা সে দেশের সরকারের নজরে এনেছিল। সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও এনেছিল। তিনি বলেন, এ ধরনের আলোচনার অর্থ অন্য দেশে নাক গলানোর অধিকার দেওয়া নয়।
আপনার মতামত লিখুন :