সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর মালিকানা দাবি করছে চীন। এতে আপত্তি জানাচ্ছে ফিলিপাইন, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ এসব দেশ। সূত্র: রয়টার্স
[৩] গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের নৌবাহিনীর কর্মী ও চীনের উপকূলরক্ষীদের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এ বিষয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র রোববার বলেছেন, তার দেশ যুদ্ধ বেধে যাওয়ার মতো কোনো উসকানি দেবে না এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এগোবে।
[৪] দক্ষিণ চীন সাগরের তদারকির দায়িত্বে থাকা ওয়েস্টার্ন কমান্ড ইউনিটের সৈন্যদের উদ্দেশে এক বক্তৃতায় মার্কোস বলেন, ‘দেশকে রক্ষায় আমরা সত্যিকারের ফিলিপিনো প্রকৃতির পথ অনুসরণ করব এবং এ ধরনের সমস্যাগুলো শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করতে চাই।’
[৫] গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইন নৌ সেনা ও চীনের উপকূলরক্ষীদের মধ্যে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতে ফিলিপাইনের এক নাবিক আহত হন এবং নৌযান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
[৬] ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী জানায়, চীনের উপকূলরক্ষীরা তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় চীনের উপকূলরক্ষীদের হাতে ছুরি, বর্শা ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা ফিলিপাইনের জাহাজে লুটপাট চালায় এবং নৌযান ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এর প্রতিবাদে গত সোমবার চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ফিলিপাইন।
[৭] চীন অবশ্য ফিলিপাইনের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র গত বৃহস্পতিবার বলেন, গৃহীত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ছিল আইনানুগ, পেশাদার। এর জন্য কোনো নিন্দা গ্রহণযোগ্য নয়।
এসআই/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :