শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ২২ জুন, ২০২৪, ০৪:০৭ দুপুর
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২৪, ০৪:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গুজরাটে মুসলিম নারীর সরকারি ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল চায় হিন্দু প্রতিবেশীরা

তালাবদ্ধ মুসলিম নারীর ফ্ল্যাট 

ইকবাল খান: [২] রাজ্যের বরোদা শহরে হরণি এলাকার একটি কলোনি গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে। 

[৩] বিবিসি জানায়, ওই এলাকায় অবস্থিত ‘মোটনাথ রেসিডেন্সি’তে মুখ্যমন্ত্রী আবাসন প্রকল্পের আওতায় আবাসনের ৬৪২টি ফ্ল্যাটের মধ্যে একটি বরাদ্দ করা হয়েছিল এক মুসলিম নারীকে। 

[৪] ৫ জুন মোটনাথ আবাসনের ৩২ জন বাসিন্দা ওই মুসলিম নারীকে বরাদ্দ করা ফ্ল্যাটটি বাতিল করে তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছেন।

[৪] এর একটি প্রতিলিপি বিবিসি গুজরাটির কাছেও আছে।

[৫] ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিবিসি গুজরাটি টিম 'মোটনাথ রেসিডেন্সি'তে পৌঁছায়।

[৬] সোসাইটিতে ঢোকা মাত্রই গেটে দেখা হলো আবাসনের সভাপতি ভবনভাই যোশীর সঙ্গে। ঘটনার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে যোশী বলেন, ‘যদি পুরো বসতিই হিন্দুদের হয় তাহলে একজন মুসলিমকে কেন ঘর বরাদ্দ করা হল, সে বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।’

[৭] তার অভিযোগ এই ঘটনার জন্য দায়ী বরোদার পুরসভা। তবে পুরসভা স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে সমস্ত নিয়ম মেনে ওই নারীকে ফ্ল্যাটটি বরাদ্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সরকারি প্রকল্পে বৈষম্য করা যায় না।

[৮] ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ওই মুসলিম নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বিবিসি গুজরাটির পক্ষ থেকে।

[৯] তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। শুধু জানিয়েছেন “গত ছয় বছর ধরে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে এবং নিজের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তিনি বাপের বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।”

[১০] এই পুরো ঘটনাতে উদ্বিগ্ন সমাজকর্মীরা। তাদের মতে এই জাতীয় ঘটনা শহরের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এবং এটি সামাজিক সংহতির চেতনার বিরুদ্ধে। 

[১১] অধ্যাপক ভরত মেহতা বিষয়টিকে ‘সংস্কৃতিমনস্ক শহর বরোদার ভাবমূর্তি নষ্ট’ করার মতো ঘটনা বলে মনে করেন।

[১২] ‘বিক্ষুব্ধ’ বাসিন্দারা তাদের আবেদনে লিখেছেন, ‘হরণি একটি হিন্দু অধ্যুষিত শান্তিপূর্ণ এলাকা। আশপাশের চার কিলোমিটারের মধ্যে কোনও মুসলিম জনবসতি নেই। এমন একটি এলাকায় সরকারের নিয়ম বিবেচনা না করে বা ভবিষ্যতের কথা না ভেবে আমাদের আবাসনে একটি মুসলিম পরিবারকে ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে।’

[১৩] তবে পুরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নীলেশ পারমার পুরো ঘটনা এবং বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের প্রতিবাদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, "এই কলোনি বরাদ্দের জন্য ২০১৭ সালে লটারি হয়েছিল। আর আবাসন বরাদ্দ করা হয়েছিল ২০১৮ সালে।”

[১৪] তিনি জানিয়েছেন, সরকারি আবাসনের বরাদ্দ কখনওই ধর্মের ভিত্তিতে হতে পারে না। নীলেশ পারমারের কথায়, ‘সরকারের কোনও প্রকল্পই ধর্মভিত্তিক নয়। নিয়ম মেনেই ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে।’

এমকে/একে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়