সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের কালেম্পাং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাতে। ফরিদা বাড়িতে না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার স্বামী। তিনি ঘরের আশপাশে খোঁজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি দেখতে পান যে, ফরিদার সঙ্গে থাকা কিছু জিনিসপত্র এক জায়গায় পড়ে আছে। এতে তার সন্দেহ হয়। এরপর পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজ শুরু হয়। সূত্র : এএফপি
[৩] অনেক খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার চার সন্তানের মা ফরিদাকে পাওয়া যায় বিশাল আকৃতির এক অজগরের পেটে। অজগরটির পেট অস্বাভাবিক বড় দেখাচ্ছিল। প্রতিবেশিরা সাপটির পেট কাটার সিদ্ধান্ত নেন। পেট কাটতেই ফরিদার মাথা বেরিয়ে পড়ে। পরে অজগরের পেট থেকে বেরিয়ে আসে ফরিদার মরদেহ। অজগরটি ফরিদাকে জামাকাপড়সহ আস্ত গিলে ফেলেছিল।
[৪] অজগর কোনো মানুষকে সম্পূর্ণ গিলে ফেলার ঘটনা বেশ বিরল। তবে গত কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়ায় অজগরের আক্রমনে কয়েকজন মারা গেছেন। গত বছর ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের তিনাঙ্গিয়া জেলায় একটি অজগর গ্রামের এক কৃষককে পেঁচিয়ে ধরে গিলতে শুরু করে। তখন বাসিন্দারা আট মিটার লম্বা অজগরটিকে মেরে ফেলে। তবে সেই কৃষকও মারা যান।
[৫] ২০১৮ সালেও ৫৪ বছর বয়সী এক নারীকে সাত মিটার লম্বা এক অজগরের পেটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের মুনা শহরে এ ঘটনা ঘটেছিল। এর আগের বছর পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে এক কৃষক নিখোঁজ হন। পরে একটি পাম তেলের বাগানে একটি অজগর তাকে জীবিত গিলে খাচ্ছে, এমন অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই অজগরটির দৈর্ঘ্য ছিল চার মিটার।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :