ইকবাল খান: [২] রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ নেতা নরেন্দ্র মোদিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি
[৩] রোববার সন্ধ্যা ৬টায় নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন।
[৪] শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত ভাবে বক্তব্য জানান তিনি। এক দশকের প্রধানমন্ত্রিত্বে নরেন্দ্র মোদি কখনও সাংবাদিক বৈঠক করেননি। শুক্রবার নিজের বক্তব্য জানালেও প্রশ্নোত্তর পর্বের মুখোমুখি হননি।
[৫] সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘আজ (শুক্রবার) সকালে এনডিএ শরিকরা আমাকে নেতা নির্বাচিত করেন এবং রাষ্ট্রপতিকে জানান। তিনি আমাকে ডেকে প্রধানমন্ত্রী মনোনিত করেছেন। আমি তাঁকে জানিয়েছি, ৯ তারিখ (রোববার) সন্ধ্যায় শপথগ্রহণ হলে ভাল হয়। তার মধ্যেই মন্ত্রীদের তালিকা আমি রাষ্ট্রপতিকে পাঠিয়ে দেব।’
[৬] তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটুকু আশ্বাস দিতে পারি, গত দু’দফায় (তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের) উন্নয়নের যে গতি বজায় ছিল, তৃতীয় দফার পাঁচ বছরেও তা থাকবে।’’ সূত্র: আনন্দবাজার
[৭] পার্লামেন্ট ভবনের সেন্ট্রাল হলে আয়োজিত বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এনডিএ-র পার্লামেন্টারী দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব সেরে রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান মোদি।
[৮] বিজেপি এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই সরকার টেকাতে ভরসা করতে হচ্ছে এনডিএ শরিকদের উপর।
[৯] বিজেপি এবার ২৪০টি আসন পেয়েছে। তার পরই রয়েছে চন্দ্রবাবুর দল। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৬টি আসন। এ ছাড়াও নীতীশের জেডিইউ বিহারে পেয়েছে ১২টি আসন। এই পরিস্থিতিতে বিহার এবং অন্ধ্রের এই দুই নেতার রাজনৈতিক গতিবিধির উপর নজর রয়েছে সব মহলের। নিজেদের গুরুত্বের কথা বুঝে ইতিমধ্যেই বড় শরিক বিজেপির উপর চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে টিডিপি এবং জেডিইউ।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :