ইকবাল খান: [২] এনডিএ নেতা, বিজেপির লোকসভা নেতা হিসাবে নরেন্দ্র মোদির নাম প্রস্তাব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেই প্রস্তাব অনুমোদন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, নিতিন গডকড়ীরা। সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার

[৩] এনডিএ-র নবনির্বাচিত এমপিরা শুক্রবার সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে বৈঠক বসেন। ওই বৈঠকে রাজনাথ এনডিএ নেতা হিসাবে নরেন্দ্র মোদির নাম প্রস্তাব করেন। পার্লামেন্টে বিজেপির নেতা হিসাবেও নরেন্দ্র মোদির নাম প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাবে সায় দেন এনডিএ শরিক দলের নেতারা।

[৪] শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি)নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, জনতা দল ইউনাইটেড দলের নেতা নীতীশ কুমার, শিবসেনা দলের নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, এনসিপির নেতা অজিত পওয়ার, জেডিইউ নেতা এইচডি কুমারস্বামীরা। মোদির নাম প্রস্তাব করার পর প্রথমেই তা সমর্থন করেন অমিত শাহ। তার পর গডকড়ীও সমর্থন জানান।

[৫] শাহ-গডকড়ীর পর একে একে কুমারস্বামী, চন্দ্রবাবু, নীতীশ, একনাথ, অজিত, চিরাগ পাসোয়ানরা সমর্থন জানান। তার পরই শরিক দলের সকলের প্রতি ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন মোদী। 

[৬] তিনি বলেন, ‘‘এনডিএ দলের নেতা রূপে সর্বসম্মত ভাবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’ নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এনডিএ হচ্ছে সবচেয়ে সফল জোট।’

[৭] জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলেই রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন এনডিএ-র নেতারা। 

[৮] রোববার নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।

[৯] বিজেপি এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই সরকার টেকাতে ভরসা করতে হচ্ছে এনডিএ শরিকদের উপর। 

[১০] বিজেপি এবার ২৪০টি আসন পেয়েছে। তার পরই রয়েছে চন্দ্রবাবুর দল। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৬টি আসন।এ ছাড়াও নীতীশের জেডিইউ বিহারে পেয়েছে ১২টি আসন। এই পরিস্থিতিতে বিহার এবং অন্ধ্রের এই দুই নেতার রাজনৈতিক গতিবিধির উপর নজর রয়েছে সব মহলের। নিজেদের গুরুত্বের কথা বুঝে ইতিমধ্যেই বড় শরিক বিজেপির উপর চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে টিডিপি এবং জেডিইউ।