শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২৪, ১০:৩১ রাত
আপডেট : ০৫ জুন, ২০২৪, ০২:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এনডিএ শরিক নাইডু ও নীতীশের সমর্থনে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি

ইকবাল খান: [২] ১ জুন ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ৭ম বা শেষ দফা ভোটের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৪শ’র বেশি আসনে বিজয়ী হবে বলে বুথফেরত বিভিন্ন জরিপে যেভাবে বলা হয়েছিল, ভোট গণনায় তা প্রতিফলিত হয়নি। 

[৩] ‘৪০০ পার’ দূর, আড়াইশো পার করতে পারেনি বিজেপি। ৫৪৫ আসনের( দু’টি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি। 

[৪] তৃতীয় বারের জন্য নরেন্দ্র মোদিই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। তবে ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এবার আর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি দল বিজেপি।

[৫] সরকার গঠনের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ’র দুই শরিক, অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর উপর। 

[৬] এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপরে নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল। 

[৭] ভারতের ইতিহাসে নরেন্দ্র মোদিই হচ্ছে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি পর পর তিন বার ক্ষমতায় এলেন। 

[৮] কিন্তু এ ক্ষেত্রে জওহরলাল নেহরুর মতো পর পর তিন বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখলের রেকর্ড করা হচ্ছে না তার। প্রধানমন্ত্রী নিজে একাধিক বার দাবি করেছিলেন, একক ভাবে বিজেপি ৩৭০ আসনে জিতবে।

[৯] অন্য দিকে, এই লোকসভা নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে এনেছে।

[১০] বিরোধী দলনেতার পদের জন্য লোকসভায় ৫৫টি আসনে জেতা প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৪ সালে ৪৪ এবং ২০১৯ সালে ৫২টি আসনে জেতা কংগ্রেস সংসদীয় বিধি অনুযায়ী সেই মর্যাদা পায়নি। 

[১১] এবার ১০০টির বেশি আসনে এগিয়ে মল্লিকার্জুন খড়েগের কংগ্রেস দল। 

[১২] লোকসভা নির্বাচনে এনডিটিভি যে ফলাফল দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এনডিএ এগিয়ে আছে ২৯২ আসনে (২০১৯ সালে পেয়েছিল ৩৫২), ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে আছে ২৩২টি আসনে (২০১৯ সালে পেয়েছিল ৯১টি আসন) এবং অন্যরা এগিয়ে  ১৯টি আসনে (২০১৯ সালে ছিল ৯৯টি আসন)।

[১৩] পশ্চিম বঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এখন পর্যন্ত রাজ্যের ৪২ লোকসভা আসনের ২৯টিতে এগিয়ে আছে, বিজেপি ১২ আসনে ও একটিতে কংগ্রেস।

[১৪] ভারতের সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তর প্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনে  ইন্ডিয়া জোট ৪২টিতে এগিয়ে আর বিজেপি ৩৮টিতে।

[১৫] উল্লেখ্য, সোমবার এক লাইনের এক বিবৃতিতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, বুথফেরত জরিপ মিলবে না, আসল ফল উল্টো হবে।

[১৬] রোববার রাহুল গান্ধী ওই বুথফেরত জরিপকে মোদি মিডিয়ার সৃষ্টি বলে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, বোগাস, একদম বিশ্বাস করবেন না। জোট ইন্ডিয়াই সরকার গড়তে চলেছে।

[১৭] পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুথফেরত জরিপকে ফেইক’ বা ভুয়া বলে অভিহিত করছিলেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়