শাহরিয়ার বিপ্লব: [২] ভারতের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ। সবার এখন দৃষ্টি নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। কিন্তু তার চেয়েও বেশী দৃষ্টি অর্থনীতির দিকে।
[৩] বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ মনে করছেন, যে দলই দিল্লির সিংহাসনে বসুক না কেন, নতুন সরকারকে একটি ভয়ানক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তা হলো ভারতীয় অর্থনীতিকে ঠিক করা।
[৪] নরেন্দ্র মোদির সরকার এবং তার অনুরাগীরা যুক্তি দিতে পারে যে, অর্থনীতি গোলাপী অবস্থায় রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, উজ্জ্বলতার নীচে কালো দাগ উপেক্ষা করার মত নয়। প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ৭% হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বার্ষিক প্রতিবেদন চলতি অর্থবছরের জন্য এই অংকটিকে সমর্থন করেছে।
[৫] সরকার বলছে, স্থিতিশীল মুদ্রা, নাগরিক সেবা, রপ্তানিতে গতি, পাবলিক অবকাঠামোতে ব্যাপক বিনিয়োগ এবং একটি উদ্ভাসিত ডিজিটাল বিপ্লব ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসাবে চিত্রায়িত করছে।
[৬] কিন্তু এটি একটি আংশিক ছবি। অর্থনীতির অন্য অন্ধকার দিকটি অবশ্যই আলোতে আনতে হবে। মোদী সরকারের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতার ওপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তঃসম্পর্কিত এজেন্ডা হলো বেকারত্ব এবং অসমতা।
[৭] ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪ এ দেখা গেছে, ভারতের বেকারদের ৮৩% হলো যুবক। বেকারত্বের তাৎক্ষণিক ফলাফল অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জ ও বৈষম্যকে আরও বড় করে তুলেছে। (টেলিগ্রাফ অনলাইন ৩১-০৫-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :