ইকবাল খান: [২] শেষ দফার ভোটের প্রচার শেষ করেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানকার কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালের ‘ধ্যানমণ্ডপম’-এ ধ্যানে বসেন। সূত্র: আনন্দবাজার
[৩] গত ৭৬ দিনে (১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণা করে) ২০৬টি জনসভা করেছেন তিনি। ৮০টি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।
[৪] প্রাথমিক ভাবে, তাঁর বিজেপি সরকারের গত পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ান দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন মোদী। কিন্তু নির্বাচনের দু’টি পর্বে ভোটদানের হার গত বারের তুলনায় কমে যাওয়ায় বক্তব্যের অভিমুখ বদলে ফেলেন।
[৫] হেঁটেছেন চূড়ান্ত মেরুকরণের রাস্তায়। প্রত্যেক দিন গড়ে তিনটি সভায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, কংগ্রেস তথা ‘ইন্ডিয়া’ জোট তফসিলি জাতি, জনজাতি, দলিত, ওবিসি-র সংরক্ষণ কেটে মুসলমান তথা নিজেদের ভোটব্যাংককে দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
[৬] কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বৃহস্পতিবার গোটা বিষয়টি নিয়ে আক্রমণ করেছেন মোদিকে। পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁর বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী ৪২১ বার মন্দির-মসজিদ নিয়ে কথা বলেছেন। ২২৪ বার মুসলমান, পাকিস্তান, সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন। আর তিনি এতটাই আত্মমুগ্ধ যে প্রচারের শেষ ১৫ দিনে বক্তৃতায় ৭৫৮ বার মোদি শব্দটিই ব্যবহার করেছেন!”
[৭] ২০১৯ সালে নিজের রেকর্ডই এ বার ভেঙেছেন নরেন্দ্র মোদী। সে বারে প্রচারের সময় ছিল ৬৮ দিন। মোদী ১৪৫টি জনসভা করেছিলেন।
[৮] ধ্যানে বসার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ প্রকাশ্যে এল মোদির ধ্যানে বসার ছবি।
[৯] প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানমগ্ন হওয়ার ছবি যাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত না হয়, সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। তাদের বক্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানমগ্ন হওয়ার ছবি প্রচারমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হলে সপ্তম দফার ভোটে তা নির্দিষ্ট একটি দল (বিজেপি)-কে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেবে। কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি যাতে ভঙ্গ না হয়, সেই কারণে এই সম্প্রচার বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়।
[১০] বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশ্ন তোলেন ছবি তোলা প্রসঙ্গে। সে কারণেই কন্যাকুমারীতে ধ্যানমগ্ন মোদীর কোনও ছবিই প্রকাশ্যে আসেনি বলে মনে করছিলেন অনেকে। তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার সকালে প্রথম বারের জন্য প্রকাশ্যে এল ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রীর ছবি।
আইকে/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :