শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসে উত্তর-পূর্ব ভারতের চার রাজ্যে অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেবল মিজোরামেই মৃত্য হয়েছে ২৭ জনের। বুধবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে তথ্যটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
[৩] এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মঙ্গলবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চারটি রাজ্যে ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের আটটি রাজ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানান তারা।
[৪] উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে কেবল মিজোরামেই ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যটির আইজল জেলায় একটি খনির পাথর ধসে ২১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া নাগাল্যান্ডে চারজন, আসামে তিনজন এবং মেঘালয়ে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন।
[৫] এদিকে, রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি, দমকা বাতাস, ভূমিধস, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে।
[৬] উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের লুমডিং বিভাগের অধীনে নিউ হাফলং-জাটিঙ্গা লামপুর সেকশন এবং ডিটোকচেরা ইয়ার্ডের মধ্যে জলাবদ্ধতার কারণে অনেক ট্রেন হয় বাতিল করা হয়েছে, না হয় আংশিকভাবে বাতিল এবং যাত্রার সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
[৭] দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আইজলের মেলথুম এবং হ্লিমেনের মধ্যবর্তী ওই খনি থেকে এখন পর্যন্ত ২১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে। জেলার সালেম, আইবাক, লুংসেই, কেলসিহ এবং ফলকাউনে ভূমিধসের ঘটনায় ছয়জন মারা গেছেন এবং আরও অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
[৮] এছাড়া, নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে ৪০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন কর্মকর্তা জানান, রাজ্যটির ফেক জেলার লারুরি গ্রামের কাছে নদীতে ডুবে এক শিশু মারা গেছে এবং ওখা জেলার ডোয়াং বাঁধেও দুজন ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ফেকে দেয়াল ধসে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
[৯] আসামের কামরূপ, কামরূপ মেট্রো এবং মরিগাঁও জেলায় তিনজন নিহত এবং আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) অনুসারে, রাজ্যের সোনিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলিতে একটি স্কুল বাসের ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়। এছাড়া, মরিগাঁওয়ে বিভিন্ন ঘটনায় আহত হয়েছে আরও পাঁচজন।
[১০] এদিকে, মেঘালয় রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দুজন মারা গেছে এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা জানান, ইস্ট জৈন্তিয়া হিলসে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ইস্ট খাসি হিলস জেলায় গাড়ি দুর্ঘটনায় অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :