ইমরুল শাহেদ: [২] ভারতের গণমাধ্যম দি ওয়াল জানিয়েছে, কার্গিল যুদ্ধের জন্য যে পাকিস্তানই দায়ী তা স্বীকার করে নিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। তিনি স্পষ্ট করেই বললেন, ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তা ভেঙেছিলেন তারাই। শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধের জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফকে দায়ী করেছেন তিনি।
[৩] ১৯৯৮ সালের ২৮ মে, পাঁচটি পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল পাকিস্তান। এই ঘটনার কয়েক মাস পরই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর তত্ত্বাবধানে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু সেই চুক্তি অচিরেই লঙ্ঘন করেছিল ইসলামাবাদ, এমনই দাবি করেছেন নওয়াজ শরীফ। তার কথায়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে লাহোর চুক্তি হয়েছিল, তা তারাই ভেঙেছিলেন এবং দোষ পাকিস্তানেরই।
[৪] পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষার ২৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে পিএমএল-এন সভায় জনগণকে ভাষণ দিতে গিয়েই ভারতের সঙ্গে চুক্তি ভাঙার প্রসঙ্গ তোলেন নওয়াজ শরীফ। তিনি বলেন, ওই চুক্তি ভাঙার কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়।
[৫] এবিপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রসঙ্গত এদিনের ভাষণে নওয়াজ শরীফ যুক্তরাষ্ট্রের কথা স্মরণ করে বলেছেন, ‘পরমাণু পরীক্ষা না চালানোর জন্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন পাকিস্তানকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার অফার করেছিলেন। পাকিস্তান সেটা প্রত্যাখান করে। আমার স্থানে যদি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান থাকতেন তাহলে তিনি তা গ্রহণ করতেন।’
[৬] ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের মূল কারণই ছিল ভারতের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ। নওয়াজ জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করার পর থেকেই নানা পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান। কার্গিলে একে একে অনুপ্রবেশ করতে শুরু করেছিল সেনা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যায়। যদিও অনুপ্রবেশের দায় তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মুশারফের উপর চাপিয়েছেন তিনি।
[৭] পাকিস্তানের পরীক্ষামূলক পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পরই দিল্লি-লাহোর রুটের প্রথম বাসে চড়ে লাহোরের শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে গেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। ১৯৯৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে লাহোর ঘোষণাপত্রে সই করেন তিনি। তবে চুক্তির তিন মাসের মধ্যেই বেধে যায় কার্গিল যুদ্ধ। সম্পাদনা: রাশিদ
আইএস/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :