সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] আইসিজে রাফাহ অঞ্চলে হামলা এবং সেখানকার ফিলিস্তিনি জনগণের ধ্বংস ডেকে আনতে পারে এমন সামগ্রিক বা আংশিক সামরিক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ নির্দেশ অমান্য করে ইসরায়েল দক্ষিণ গাজয় হামলা অব্যাহত রেখেছে। সূত্র: আল-জাজিরা
 
[৩] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আইসিজের নির্দেশ কোন সাধারণ আদেশ নয়।’ তিনি দাবি করেন, রাফাহ বা অন্য কোন স্থানেই সাধারণ জনগণের জন্য সামগ্রিক বা আংশিক ধ্বংসাত্মক হয় এমন হামলা আমরা কখনও চালায়না।
 
[৪] প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি এন-১২ টিভিকে বলেন, ‘আইসিজে আমাদেরকে যা বলছে, তাহল আমরা যেন রাফাহতে গণহত্যা না চালায়। আর আমরা তা চালাবও না।’

[৫] রাফাহতে হামলা অব্যাহত থাকবে কিনা প্রশ্নের জবাবে হানেগবি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আদালত আমাদেরকে সে অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত করছে এমন কোন প্রমাণ নেই।

[৬] গত শুক্রবার আইসিজের রায়ে ইসরায়েলকে অবিলম্বে রাফাহতে হামলা বন্ধ এবং সীমান্ত ক্রসিং খুলে অবিলম্বে ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ইসরায়েলকে। ইসরায়েল তা মান্য করার পরিবর্তে হামলা আরও তীব্র করেছে। বন্ধ করে রেখেছে ত্রাণ প্রবেশের সব পথ। 

[৭] এমন অবস্থায় জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোটার ফ্রন্সিস্কো আলবানিজ বলেছেন, ‘আমরা (জাতিসংঘ) হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে বাধ্য না করলে দেশটি এই উন্মত্ততা বন্ধ হবে না।’

[৮] ইসরায়েল গাজায় টানা ২৩৩ দিন ধরে হামলা, তান্ডব ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে উপত্যকাটির ৩৫,৯০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮০,৪২০ জন আহত হয়েছেন। এদের শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি নবজাতক, শিশু ও নারী।