ইমরুল শাহেদ: [২] তিন ইউরোপীয় দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে বলছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। সূত্র: বিবিসি
[৩] তবে ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। এটিকে একটি ‘বিকৃত পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা বলেছে “এটি কেবল অস্থিতিশীলতাকেই বাড়িয়ে তুলবে”। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে থেকে নিজের দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে ইসরায়েল।
[৪] অসলোতে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোর, মাদ্রিদে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ এবং ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস ২৮ মে’র মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
[৫] বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এই তিন দেশ। সূত্র: আলজাজিরা
[৬] নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর বুধবার বলেছেন, ফিলিস্তিনকে যদি স্বীকৃতি না দেওয়া হয় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। যুদ্ধ হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হচ্ছে। এটার একমাত্র রাজনৈতিক সমাধান হলো - দুটি রাষ্ট্র যারা শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করবে।
[৭] ইসরায়েলি প্রকাশনা হারেৎজের রাজনৈতিক কলামিস্ট আকিভা এলদার আলজাজিরাকে বলেছেন - নরওয়ে, স্পেন এবং আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া ‘নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলি নেসেটের (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) দর্শনের বিরুদ্ধে যায়।’ বিশেষ করে ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল মেনে নেবে না।
[৮] আকিভা এলদার বলেছেন, ‘মাত্র কয়েক মাস আগে, নেসেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতির বিরুদ্ধে একটি খুব অদ্ভুত প্রস্তাব পাস করেছে।’ এলদার মনে করেন, নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতি ‘ইহুদি বিরোধীতা, ভিকটিকহুড’ হিসাবে দেখবেন এবং তার বর্ণনায় এটি ব্যবহার করবেন ‘বিশ্ব আমাদের বিরুদ্ধে’।
[৯] ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ মুস্তাফা বারঘৌতি আলজাজিরাকে বলেছেন, আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং নরওয়ে দ্বারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি একটি ‘শক্তিশালী রাজনৈতিক এবং প্রতীকীভাবে-গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ যা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ‘স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’ অর্জনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে গেছে।
[১০] বারঘৌতি বলেন, ‘এটি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার নির্ধারণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ - আমাদের জনগণ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য।’ সম্পাদনা: ইকবাল খান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :