ইমরুল শাহেদ: বুধবার রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন উদ্ধব ঠাকরে। আর সেই সঙ্গে ভেঙ্গে গেল ৩১ মাসের জোট সরকার। আস্থা ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বিপক্ষে যাওয়ার পর বুধবার রাতেই ফেসবুক লাইভে এসে পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। এদিন তিনি বিধান সভা থেকেও পদত্যাগ করেন।
মহারাষ্ট্র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজ্যপালের কাছে আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয় বিজেপিসহ আরো কয়েকটি দল। সরকার টেকাতে শেষ চেষ্টা চালাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ঠাকরের দল। সুপ্রিম কোর্টের আদেশও তার বিপক্ষে ্অর্থাৎ আস্থা ভোটের পক্ষে যায়। আস্থা ভোটের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয় বৃহস্পতিবার।
কলকাতা২৪’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন না তিনি। তাই বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগ করেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারকে।
উদ্ধবের পদত্যাগের পর পরই উল্লাস দেখা যায় বিজেপি শিবিরে। ফডনবীসের নামে স্লোগানও ওঠে। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, তৃতীয় বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে।
আজকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা ভাগ নিয়ে এখনও শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে বৈঠকে বসেনি বিজেপি। তার আগে পর্যন্ত সবরকম জল্পনা-কল্পনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন শিন্ডে। উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগের পর থেকেই জোর জল্পনা, মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার গঠিত হলে, কে কোন পদ পাবেন? মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন, বিদ্রোহী শিন্ডের হাতেই বা যাবে কোন মন্ত্রণালয়।
সরকার গঠনের আগে বিদ্রোহীদের রাজ্যে ফিরতে বারণ করেছেন মহারাষ্ট্র বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মুহূর্তে আর কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি। মহারাষ্ট্র সরকারের পতনের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তবে, সমস্ত জল্পনায় কান দিতে মানা করলেন বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে।
বৃহস্পতিবার টুইট করে শিন্ডে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা বন্টন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বিজেপির সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্ত্রিসভার যে সম্ভাব্য তালিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে তা একেবারেই গুজব। উল্লেখ্য উদ্ধব ঠাকরে পদত্যাগ করার পর বৃহস্পতিবারের টুইট ছিল শিন্ডের প্রথম প্রতিক্রিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :