ইকবাল খান: [২] ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। এটির মডেল বেল-২১২।
[৩] রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী কপ্টারে ছয় জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু ছিলেন।
[৪] ইউরোনিউজ জানায়, সম্ভবত এই হেলিকপ্টারটি ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেনীর নেতৃত্বে সংগঠিত ইসলামি বিপ্লবের আগে শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সময় কেনা হয়েছিল।
[৫] বিবিসি জানায়, ১৯৭৯ সালের ওই বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্যদের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু হয়। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে নিষেধাজ্ঞাগুলো চলমান রয়েছে।
[৬] সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪০ বছরেরও বেশি আগে নির্মিত হেলিকপ্টারটি চালাতে পাইলটকে সম্পূর্ণ নিজস্ব দৃষ্টি শক্তির ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। এলাকাটিতে ভারী বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা সম্ভবত পাইলটের দৃষ্টিকে বাধাগ্রস্থ করেছে এবং হয়তো এ কারণে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
[৭] বেল হেলিকপ্টার (বর্তমানে বেল টেক্সট্রন) ১৯৬০ এর দশকের শেষদিকে মূল ইউএইচ-১ইরোকোয়াই এর আপগ্রেড হিসেবে কানাডিয়ান সামরিক বাহিনীর জন্য এটি তৈরি করেছিল।
[৮] রোববার বিধ্বস্ত ইরানি মডেলটি সরকারি যাত্রী বহনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
[৯] ফ্লাইটগ্লোবালের ওয়ার্ল্ড এয়ার ফোর্সেস ডিরেক্টরি- ২০২৪ অনুসারে, ইরানের সরকার কতোটি এই মডেলের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে সেটি স্পষ্ট না হলেও দেশটির বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর কাছে মোট ১০ টি এই মডেলের হেলিকপ্টার রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :