শিরোনাম
◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ◈ দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে !

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২৪, ০৯:০৩ রাত
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৪, ০২:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৫০টি মিসরের সিনাইয়ের সঙ্গে যুক্ত

গাজার রাফাহ নগরীতে ৭০০ টানেলের সন্ধান পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের 

ইমরুল শাহেদ: [২] আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা গাজায় গণহত্যা মামলার শুনানিতে ইসরায়েলের পক্ষে অ্যাটর্নি গিলাদ নোয়াম বলেন, রাফাহ নগরীতে প্রায় ৭০০ টানেলের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার ৫০টি মিসরের সঙ্গে যুক্ত। এসব টানেল দিয়েই হামাসের হাতে অস্ত্র-শস্ত্র আসে। এখান দিয়েই হয়তো জিম্মিদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং হামাসের সিনিয়র নেতারা এই পথেই যাতায়াত করে থাকেন। সূত্র: মিডলইস্ট আই

[৩] অ্যাটর্নি গিলাদ নোয়াম আরও জানান, রাফাহর ভূগর্ভে রয়েছে টানেলের একটা জটিল কাঠামো। এখানে রয়েছে হামাসের চারটি ব্যাটেলিয়ন। গাজা উপত্যকার অন্য স্থান থেকে আরো ব্যাটেলিয়ন এসে তাদের শক্তি বাড়ায়। হামাস সেখান থেকেই তাদের সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে এবং তাদের বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডারও রয়েছে এসব টানেলের ভিতরেই। 

[৪] মিসরের ফাঁস হওয়া সামরিক গোপন নথিতে থাকা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে রাফাহ নগরীর সীমান্তে থাকা ২০০০ টানেল মিসরের সামরিক প্রকৌশলীরা ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে মিসর কখনোই এই ধ্বংসের কথা স্বীকার করেনি। 

[৫] টানেলগুলো ধ্বংসের বিকল্প হিসেবে গাজা সীমান্তে একটি খাল খননের প্রস্তাব মিসরের বিবেচনায় রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, খাল খননের সম্ভাব্যতা নিয়ে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। 

[৬] সেনাবাহিনীর গোপন সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া নথি থেকে সিনাই এলাকায় ব্যাপক সামরিক অভিযানের একটি চিত্রও ফুটে উঠে। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সরকার রাফাহতে তার কার্যকলাপ সম্পর্কে অত্যন্ত গোপনীয় এবং ২০১৩ সাল থেকে এই অঞ্চলে একটি মিডিয়া ব্ল্যাকআউট আরোপ করেছে। এর মাধ্যমে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান চালানো হয়। 

[৭] নথি অনুসারে, ওই সময়ে যেসব টানেলগুলো ধ্বংস করা হয়েছিল সেগুলো গাজার বাসিন্দারা ব্যবহার করত বাণিজ্যিক ও পরিবহন কাজের জন্য। 

[৮] ৭ মে ইসরায়েলে হামাসের অভিযানের পর মিসরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধাদের ব্যবহৃত টানেলগুলো বন্ধ করতে মিসরকে ব্যর্থতার দায় দিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। 

[৯] ইসরায়েলি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ব্যবহার করা অস্ত্রগুলো এসব টানেল দিয়ে মিসর থেকে হামাসের হাতে এসেছে। সম্পাদনা: এম খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়