সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] পাপুয়া নিউগিনির কারকার দ্বীপে যত দূর চোখ যায়, দেখা যায় শত শত নারকেলগাছ। কয়েক দশক আগেও এখনকার আকর্ষণীয় রপ্তানি পণ্য ছিল নারকেল। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক বাজারে নারকেলের ব্যবসা আকর্ষণ হারিয়েছে। ফলে দেশটির উত্তর উপকূলের এই দ্বীপে নারকেল ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
[৩] নারকেলের যে সাদা শাঁস থেকে তৈরি হয় নারকেল তেল, সেটি ব্যবহার করে বায়োডিজেল তৈরি করছে দেশটি। এই বায়োডিজেল হচ্ছে জৈবিক উৎস থেকে তৈরি নবায়নযোগ্য জ্বালানি। কারকার দ্বীপে এই জ্বালানি তেল ব্যবহার করে স্কুল ও হাসপাতালে বিদ্যুৎ এবং জাহাজ চালানো হচ্ছে।
[৪] ৯৮০ হেক্টর এলাকাজুড়ে রয়েছে কারকার দ্বীপের কুলিলি নারকেল বাগান। কুলিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্রেক মিডলটন বলেন, তারা প্রতিবছর ছয় লাখ লিটার নারকেলভিত্তিক জৈব জ্বালানি বা বায়োডিজেল উৎপাদন করেন। ২০০৭ সালে তাদের এ প্রকল্প শুরু হয়। নারকেল থেকে বায়োডিজেল তৈরিতে ওই বছর কুলিলিতে একটি কারখানা গড়ে তোলেন তারা। এখন উৎপাদন বাড়াতে প্রকল্প আরও বড় করার উদ্যোগ নিচ্ছেন।
[৫] মিডলটন বলেন, তাদের তৈরি বায়োডিজেল সরকারি বিভিন্ন গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের গাড়ি, ব্যক্তিগত গাড়ি, জাহাজ, জেনারেটরের পাশাপাশি নিজস্ব কারখানাগুলোতেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
[৬] পাপুয়া নিউগিনিতে নারকেল থেকে তৈরি এই বায়োডিজেল ইতিমধ্যে ডিজেলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর দামও তুলনামূলকভাবে কম। এর ব্যবহার আরও বৃদ্ধির উপায় ও বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার নিয়ে গবেষণা চলছে। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :