ইমরুল শাহেদ: [২] এই বিক্ষোভের অগ্রভাগে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
[৩] গত এক সপ্তাহে আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, ইতালি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ক্যাম্পাসেও ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ দমনে ইতোমধ্যে তৎপর হয়েছে এসব দেশের সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও শহরে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গ্রেপ্তারের তথ্যও জানা গেছে। সূত্র: গার্ডিয়ান
[৪] মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মতো ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পাশাপাশি ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যাবতীয় চুক্তি বাতিলের দাবিও সামনে আনছেন তারা।
[৫] ফিলিস্তিন ক্রোনিকল জানিয়েছে, মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে অবস্থিত ইউনিভার্সিডিট অব আমস্টারডাম (ইউভিএ) ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, পাশাপাশি ব্যাপক মাত্রায় লাঠি, পিপার স্প্রে এবং টিয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪ জন ছাড়া সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে
[৬] ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের অবপর দুই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব আটরেশট এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেলফেও ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
[৭] এদিকে মঙ্গলবার সকালে জার্মানির জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিপজিগের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিপজিগের একটি লেকচার হল দখল করেন ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল। দখলের পর তারা হলের সামনে ব্যানার টানান। সেখানে লেখা ছিল, ‘গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় দখল’।
[৮] পশ্চিমা দেশগুলো একদিকে যুদ্ধবিরতির কথা বলছে, আরেক দিকে সমরাস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিয়ে গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলকে উদ্বুদ্ধ করছে। সরকারগুলোর এই ভূমিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের সাধারণ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। এজন্যই হয়তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ তরঙ্গায়িত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। সম্পাদনা: এম খান
আপনার মতামত লিখুন :