এম খান: [২] দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেলটিই বাতিল করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তাতে চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। সূত্র: আনন্দবাজার
[৩] হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেশের ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আদালত জানিয়ে দিল, আগামী ১৬ জুলাই এ সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে।
[৪] ‘প্রমাণিত অযোগ্যদের’ বেতনের টাকা ফেরতের রায়েও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। কিন্তু, এই মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই এবং বাছাইয়ের সূত্র যে গুরুত্বপূর্ণ, তা-ও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ।
[৫] হাই কোর্টের রায়ের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[৭] মঙ্গলবারের নির্দেশের পর মমতা এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশি এবং মানসিকভাবে তৃপ্ত। সামগ্রিক ভাবে শিক্ষক সমাজকে জানাই আমার অভিনন্দন এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টকে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।
[৮] মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন তারা। কেন এই নির্দেশ, তার ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, ‘যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তা হলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না।’
[৯] তবে চাকরি বহাল রাখলেও এই ২৫,৭৫৩ জনকেই ‘মুচলেকা’ দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে পরে যাঁদের নিয়োগ ‘অবৈধ’ বলে প্রমাণ হবে, তাদের প্রত্যেককে টাকা ফেরত দিতে হবে।
এমকে/একে
আপনার মতামত লিখুন :