সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ইসরায়েলি ট্যাংকবহর মিসর সীমান্তে গাজার রাফাহ ক্রসিং দখল করেছে। সোমবার রাতে অবিরাম বিমান হামলার ছত্রছায়ায় রাফাহ ক্রসিংয়ে পৌঁছে যায় ইসরায়েলি ট্যাংক। রাফাহ আবাসিক এলাকার ওপর ইসরায়েলি জঙ্গী বিমানগুলো ব্যাপক হামলা চালায় রাতে। এতে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। সূত্র: আল-জাজিরা
[৩] কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাস মেনে নেওয়ার কথা জানানোর পরও ইসরায়েল রাফাহতে হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়। এরপরই ট্যাংক বহর রাফাহ’র বর্ডার ক্রসিং দখল করে নেয়।
[৪] ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলি দাবি থেকে অনেক দূরে রয়েছে। তবে আলোচনার জন্য তারা কায়রোয় আলোচনার জন্য তাদের প্রতিনিধিদল পাঠাবে।
[৫] জাতিসংঘ সংস্থাগুলো এবং ত্রাণ গ্রুপগুলো রাফাহতে ইসরায়েলি স্থলহামলার ভয়াবহ পরিণতির ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। হামলার আগে ইসরায়েলি আর্মি রাফাহ’র পূর্বাংশ থেকে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। রাফাহতে বাস্তচ্যূত ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
[৬] গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার ৭ মাস পূর্ণ হয় মঙ্গলবার(৭ মে)। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৩৪,৭৮৯ জন নিহত এবং ৭৮,২০৮ জন আহত হয়েছেন। যাদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
[৭] এর আগে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা গাজার কারেম আবু সেলিম (কারেম শ্যালোম) ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি সেনা সমাবেশে হামলা করেছে। এতে ৪ সেনা নিহত এবং বহু আহত হয়েছে। এ হামলার পর ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। রাফাহতে হামলার প্রস্ততি হিসেবে সেখানে এ সেনাসমাবেশ করা হয়েছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :