ইমরুল শাহেদ: [২] গাজার গণমাধ্যম দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
[২] যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৭ হাজার ৮১৬ জন আহত হয়েছেন। আট হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের কেউ কেউ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি আছেন আরও অন্তত ২০ জন সাংবাদিক। সূত্র: আল-জাজিরা
[৩] ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি করে শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য।
[৪] অন্যদিকে ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ যোদ্ধা হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত সংবাদিকদের মধ্যে ১০৭ জনের নাম ও জাতীয়তা প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। সেই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে ১০০ জন ফিলিস্তিনি, ৩ জন লেবানিজ এবং ৪ জন ইসরায়েলি।
[৫] ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সর্বশেষ নিহত সাংবাদিকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে গাজার মিডিয়া দপ্তর। নিহত ওই সাংবাদিকের নাম সালেম আবু তোয়োর। আল-কুদস টুডে নামের একটি স্থানীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদক ছিলেন তিন।
[৬] আনাদোলু নিউজ অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবারের বিবৃতিতে সাংবাদিক হত্যা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোকে ইসরায়েলের সরকার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘পরিকল্পিত পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে গাজার মিডিয়া দপ্তর বলেছে, ‘গাজায় সামরিক অভিযানের নামে যে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী, সেই গণহত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হত্যা করা হচ্ছে সাংবাদিকদের।’
[৭] সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর।সম্পাদনা: এম খান
আপনার মতামত লিখুন :