ইমরুল শাহেদ: [২] এখান থেকে ইরাবতি নদীর পথ নিয়ন্ত্রণ করে জান্তা সেনারা। এই পথ দিয়েই যাতায়াত করা হয় রাজধানী মিটকিনাতে। দীর্ঘ এক মাস যুদ্ধের পর এই দপ্তরটি দখল করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সূত্র: ইরাবতি
[৩] কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) ও কাচিন পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স ইরাবতি নদীর পশ্চিম তীরের সিনবো এলাকাটি গত ফেব্রুয়ারি মাসেই দখল করেছে। মিটকিনা টাউনশিপ এলাকাতেই সিনবোর পুলিশ স্টেশনটিও নিয়ন্ত্রণ করছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
[৪] তখন থেকেই প্রতিরোধ যোদ্ধারা শহরের পশ্চিম দিকের এই সেনা দপ্তরটি দখল করার চেষ্টা করে আসছিল। সোমবার কেআইএ মুখপাত্র কর্নেল নও বু গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কেআইএ সদর দপ্তর ও কেআইএ ব্রিগেডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। এখান থেকে মিটকিনা-ভামো নদী পথও তদারকি করা হয়।’
[৫] কাচিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, সদর দপ্তরটি রক্ষা করার জন্য জান্তা বাহিনী বিমান ও হেলিকপ্টারও ব্যবহার করেছে। সংঘর্ষে কয়েকজন জান্তা কমান্ডার নিহত হয়েছেন এবং অন্য ব্যাটেলিয়নের একজন কমান্ডার হয়েছে আহত।
[৬] নারিনজারার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিরোধ যোদ্ধা ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মিয়ানমার জুড়ে ২৯ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ হাই কমিশনার ফর হিউম্যানিটেরিয়ান এ্যাফেয়ার্স (ইউএনওসিএইচএ) জানিয়েছে, গত বছর প্রতিরোধ যোদ্ধা ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে রাখাইন রাজ্য ও শিন রাজ্যের পালেতওয়া রাজ্যে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার। সম্পাদনা: এম খান
আপনার মতামত লিখুন :