শিরোনাম
◈ তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর যা জানালো ◈ বিএনপির বিশৃঙ্খলা রোধে তারেক রহমানের যত ‘স্মার্ট অ্যাকশন’ ◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ০২:৪৬ দুপুর
আপডেট : ০১ মে, ২০২৪, ১২:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রিপোর্ট অযৌক্তিক ও অপ্রমাণিত: নিন্দা করে দিল্লি 

খালিস্তানপন্থী নেতা পন্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার নেপথ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’: ওয়াশিংটন পোস্ট

ক্যাপশন: গুরপতবন্ত পন্নুন। ফাইল চিত্র।

ইকবাল খান: [২] নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশে ভারতবিরোধী সন্ত্রাসবাদীদের হত্যার কৌশল নিয়ে সোমবার সুবিশাল রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’। সূত্র: আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস

[৩] মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সয়াল এক বিবৃতিতে  মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত ওই রিপোর্টকে অযৌক্তিক ও অপ্রমাণিত বলে নিন্দা করেছে। 

[৪] প্রকাশিত ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার মাটিতে খালিস্তানি নেতা ডি এস পন্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার পিছনে ছিল ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’। 

[৫] রিপোর্টে দাবি, র-এর তৎকালীন প্রধান সমন্ত গোয়েল এই হত্যার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিলেন, এবং বিক্রম যাদব নামে এক ‘র’ অফিসার এই পরিকল্পনার সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই একটি ঘাতক দল ভাড়া করে পন্নুনের যাবতীয় গতিবিধির কথা তাদের জানিয়েছিলেন, এবং বিক্রম লিখেছিলেন, ‘এই হত্যাই আমাদের অগ্রাধিকার।’

[৬] ‘র’-এর সাবেক ও বর্তমান অনেক অফিসারের সঙ্গে কথা বলার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট লেখা হয়েছে, এই দাবি করে সংবাদপত্রটি বলেছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও বিষয়টি জানতেন এবং বিদেশের মাটিতে ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীদের হত্যা করাই এখন দিল্লির কৌশল। 

[৭] এই রিপোর্ট সম্পর্কে ডোভাল, বা গোয়েল কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি বলে সংবাদপত্রটির দাবি। 

[৮]  রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ওই হত্যার ব্যর্থতার পরে ‘অনভিজ্ঞ’ যাদবকে ভারতের আধাসেনায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

[৯] এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক যাতে ধাক্কা না খায়, সে জন্য আমেরিকার আদালতে এই ঘটনা সম্পর্কে দেওয়া চার্জশিটে বিক্রমের নাম না করে ‘ষড়যন্ত্রী সিসি-ওয়ান’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, নাম করা হয়নি ‘র-’এর। এই ঘটনায় শুধু গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী নিখিল গুপ্তকে।

[১০] পোস্টের দাবি, বিক্রম এবং গুপ্তের আগাগোড়াই গভীর যোগাযোগ ছিল। কানাডার মাটিতে নিহত খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের দেহের ছবিও বিক্রম গুপ্তকে পাঠিয়েছিল। 

[১১] মার্কিন গোয়েন্দারা বহু দিন ধরে নজর রেখে জানতে পেরেছিলেন, হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে খুনের দায়িত্ব নিখিল গুপ্ত প্রথমে একটি ভাড়াটে ঘাতক দলকে দিয়েছিল, পরে অন্য একটি দল তা করে বলে সংবাদপত্রের দাবি। রিপোর্টে দাবি, নিখিল এবং বিক্রমের কথোপকথন প্রথম দিকে মাদক ব্যবসা নিয়েই হত, পরে হঠাৎ এক দিন নিউ ইয়র্কে এক আইনজীবীকে হত্যা নিয়ে দু’জনের আলোচনা শুরু হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়