শিরোনাম
◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ◈ দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে ! ◈ অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:১৯ দুপুর
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:০৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বালুরঘাটে সুকান্ত, রায়গঞ্জে ভিক্টর, দুই প্রার্থীর সামনে স্লোগান তৃণমূলের, বিচ্ছিন্ন অশান্তি দুই কেন্দ্রেই

রাশিদুল ইসলাম: [২] ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় দেশের ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোট চলছে। ভোটগ্রহণ চলছে উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটেও। আনন্দবাজার 

[৩] বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজ্যের তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট ২৯০টি অভিযোগ জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে। বালুরঘাটের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মোবাইলে ভিডিয়ো তুলছিলেন বিজেপির এক নারী কর্মী। ওই বিজেপি কর্মীর দাবি, সুকান্ত মজুমদারকে তৃণমূল কী ভাবে হেনস্থা করছে, তা তুলে ধরতেই তার ভিডিয়ো করা। অভিযোগ, ভিডিয়ো করার সময় তৃণমূলের এক নারী কর্মী, ‘তুই কি রিপোর্টার’ বলে চিৎকার করে থাপ্পড় মারেন ওই বিজেপি কর্মীকে। 

[৪] ভোট দিলেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। সস্ত্রীক ভোট দিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষও। ভোট দিয়ে বেরিয়ে শঙ্কর জানান, দার্জিলিং কেন্দ্রে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। পাশাপাশি তার আশঙ্কা, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একমাত্র চোপড়ায় অশান্তি হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে চোপড়া বিধানসভায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল।

[৫] অন্য দিকে, শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুলে সকালেই ভোট দিতে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম। ভোটদান পর্ব মিটিয়ে বিধায়ক শঙ্করকে আক্রমণ করে গৌতম দেব বলেন , মানুষকে যারা কিছু দিতে পারেনি, তারা কী করে জয়ের আশা করে? বিধায়কের চোপড়ায় অশান্তির আশঙ্কা প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন , ‘প্রথম দফায় নির্বাচনে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভায় বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের যে ভূমিকা দেখা গিয়েছে, তা যদি এ বারও হয়, তা হলে মাথায় রাখবেন গৌতম দেব রাস্তায় রয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তুত দলের লোকেরাও।’

[৬] ভোট দিলেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। তিনি আশাবাদী যে, বাম কংগ্রেস জোট এ বার ভাল ফল করবে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুলির প্রাক্তন বাম বিধায়ক বলেন, “দার্জিলিঙে ত্রিমুখী লড়াই চলছে। বিগত তিনটে নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। আমরা আশা করব, বাম-কংগ্রেস ভাল ফল করবে।”

[৭] রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গোয়ালপোখরে বিধানসভা এলাকার একটি বুথে ভোট পরিদর্শনে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর)। রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি নিজের বুথে ভোট দেওয়ার সময় ঘটনাচক্রে সেই বুথেই পৌঁছন ভিক্টর। অভিযোগ, তাকে দেখেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূলের বেশ কয়েক জন কর্মী। পরে ভিক্টর বলেন, “জয় বাংলা তো বাংলাদেশের স্লোগান। শেখ মুজিবর রহমান দিতেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখানে এই স্লোগান দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।”

[৮] সকাল ৯টা পর্যন্ত দার্জিলিঙে ভোট পড়েছে ১৫.৭৪ শতাংশ। রায়গঞ্জে ভোট পড়েছে ১৬.৭৪ শতাংশ এবং বালুরঘাটে ভোট পড়েছে ১৪.৭৪ শতাংশ। কমিশন জানিয়েছে, প্রথম দু’ঘণ্টায় তিন কেন্দ্রে সামগ্রিক ভাবে ভোটদানের হার ১৫.৬৮ শতাংশ।

[৯] সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রথম দু’ঘণ্টায় মোট ২৪১টি অভিযোগ জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনের কাছে। কমিশন সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বালুরঘাট আর রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র নিয়েই। সকাল ৯টা পর্যন্ত কমিশনের কাছে মোট ২৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তৃণমূল জানিয়েছে, সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তারা মোট ৫৮টি অভিযোগ করেছে। ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত করা হয়েছে ৫৪টি অভিযোগ। অধিকাংশ অভিযোগ ইভিএম বিভ্রাট সংক্রান্ত এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর হুমকি সংক্রান্ত বলে রাজ্যের শাসকদল সূত্রে খবর।

[১০] বালুরঘাট লোকসভার অন্তর্গত তপন বিধানসভা কেন্দ্রের পতিরাম এলাকার ১০০ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের দিকে। তৃণমূলের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্তের পাল্টা দাবি, তৃণমূল ভোটকেন্দ্রের সামনে স্লোগান দিয়েছে, বিজেপির মহিলা কর্মীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করেছে। তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকলে তর্জনী উঁচিয়ে তেড়ে যান সুকান্ত। 

[১১] বালুরঘাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০ নম্বর বুথে ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাট থানার আইসি। যায় বিশাল পুলিশ বাহিনীও। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটারদের অহেতুক হয়রানি এবং মারধর করছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

[১২] দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি-সহ বেশ কিছু এলাকায় ইভিএমে প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য বিলম্বে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভোট দিতে বেরোলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কোথাও কোথাও অশান্তি পাকাবার চেষ্টা করছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে পুনরায় জয়ের ব্যাপারে ‘পুরো আশাবাদী’ তিনি।

[১৩] বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তপন বিধানসভা কেন্দ্রের পতিরামে ১০০ নং বুথে ১০০ মিটারের মধ্যে ক্যাম্প করে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে অভিযোগ জানালে তাদের যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ রায়কে মারধর করা হয়।

[১৪] সকাল সকাল ভোট পরিদর্শনে বেরিয়ে জয়ের বিষয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস এবং প্রত্যয়ের কথা শোনালেন রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। কে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি না কংগ্রেস, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাদের জয়ের ব্যবধান এতটাই বেশি হবে যে, কে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বোঝা যাবে না। ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে জিতব।” কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রামজকে কটাক্ষ করে কল্যাণী বলেন, “যিনি চাকুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে নিজের জামানত বজায় রাখতে পারেন না, তিনি আবার ভোটে ফ্যাক্টর হবেন কী করে?”

[১৫] তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ তুলল বিজেপি। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তপন থানার খশুরা অঞ্চলের রামপুর ও কৃষ্ণবাটি বুথে তৃণমূলের লোকজন টাকা দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ঢুকছে বলে দাবি পদ্মশিবিরের। তাদের আরও দাবি, ভোটারদের প্রভাবিত করতে এই সমস্ত কাজ করছে তৃণমূল। 

[১৬] বালুরঘাটের হরিরামপুর বিধানসভার মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৪ নম্বর বুথে এবং রায়গঞ্জের গোয়ালপোখর বিধানসভার গোয়াগাঁও-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৩ নম্বর বুথে ভোটারদের হেনস্থা করা এবং মহিলা ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলল তৃণমূল।

[১৭] ভোট দিলেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা। সকাল সকাল শিলিগুড়ির প্রধান নগরের মার্গারেট স্কুলে ভোট দিতে পৌঁছন তিনি। ভোটদান পর্ব মিটিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোপাল বলেন, “সবার প্রথমে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা হল না। আমার আগে এক জন বৃদ্ধ মহিলা ছিলেন। তিনিই প্রথম ভোট দিলেন। আমি তার পরে। সকাল সকাল বুথগুলিতে ভিড় হতে শুরু করেছে। সারা দিন সমতলেই বিভিন্ন বুথে ঘুরব। পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হচ্ছে।”

[১৮] বালুরঘাট মণিমেলা পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৯ এ-র ৫১, ৫২, ৫৩ নম্বর বুথে সকাল থেকে ভোটারদের লম্বা লাইন। সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকেই ভোটাররা ভিড় জমিয়েছেন ভোটকেন্দ্রের সামনে। সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই ভোটারদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। মূলত গরমের হাত থেকে বাঁচতেই সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ওই ভোটারেরা।

[১৯] এ বার রায়গঞ্জে প্রার্থী বদল করেছে বিজেপি। ওই কেন্দ্রের দলের বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী চলতি লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের পদ্মপ্রার্থী। রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থী করেছে কার্তিকচন্দ্র পালকে। তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে। আর কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর)-কে।

[২০] ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৪০.০৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী। তৃণমূলের কানাইয়ালাল আগরওয়াল পেয়েছিলেন ৩৫.২৯ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা সিপিএমের মহম্মদ সেলিম পেয়েছিলেন ১৪.২৪ শতাংশ ভোট। আর কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি পেয়েছিলেন মাত্র ৬.৫৫ শতাংশ ভোট। প্রসঙ্গত, সেলিম এবং দীপা, দু’জনেই রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ। ২০২১-এ এই লোকসভার অন্তর্গত ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি এবং হেমতাবাদে জয়ী হয় তৃণমূল। বিজেপির ঝুলিতে যায় কালিয়াগঞ্জ এবং রায়গঞ্জ।

[২১] বালুরঘাটে এ বার বিজেপির প্রার্থী দলের রাজ্য সভাপতি তথা এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল প্রার্থী করেছে দলের পুরনো নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকে। বামেদের তরফে আরএসপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে। প্রার্থী হয়েছেন জয়দেবকুমার সিদ্ধান্ত। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাটে ৪৫.০১ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন সুকান্ত। তৃণমূল প্রার্থী তথা নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ পেয়েছিলেন ৪২.২৩ শতাংশ ভোট। আর আরএসপি প্রার্থী রণেন বর্মণ পেয়েছিলেন মাত্র ৬.০৯ শতাংশ ভোট। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ইটাহার, কুশমন্ডি, কুমারগঞ্জ এবং হরিরামপুর আসনে তৃণমূল জিতেছিল। বিজেপি জিতেছিল বালুরঘাট, তপন এবং গঙ্গারামপুরে।

[২২] দার্জিলিঙে এ বার মূলত ত্রিমুখী লড়াই। তবে এখানের অঙ্ক যে আর পাঁচটা কেন্দ্রের চেয়ে জটিল, তা মানছেন অনেকেই। বিজেপি এ বারও সেখানে প্রার্থী করেছে দলের বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তাকে। তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রাক্তন আমলা গোপাল লামাকে। কংগ্রেস প্রার্থী করেছে মুনীশ তামাংকে। বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ছেন কার্শিয়াঙের দলীয় বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। গোর্খা এবং ভূমিপুত্রদের ভোট কার দিকে যাবে, বিষ্ণুপ্রসাদ কার ভোট কেটে কার সুবিধা করে দেবেন, সেই সব নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা চলছে।

[২৩] ২০১৯ সালে দার্জিলিং কেন্দ্রে ৫৯.০৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির রাজু বিস্তা। অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অমর সিংহ রাই। তিনি পেয়েছিলেন ২৬.৫১ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকার পেয়েছিলেন ৫.১৩ শতাংশ ভোট। আর সে বার বামেরা আলাদা লড়ে চতুর্থ স্থান পেয়েছিল। সিপিএম প্রার্থী সমন পাঠক পেয়েছিলেন মাত্র ৩.৯৮ শতাংশ ভোট। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে কালিম্পঙে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা এবং চোপড়ায় তৃণমূল জিতেছিল। বাকি পাঁচটি বিধানসভা দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, শিলিগুড়ি এবং ফাঁসিদেওয়ায় জিতেছিল বিজেপি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়